Bangladesh

World leaders have failed in tackling Rohingya crisis: Amnesty

World leaders have failed in tackling Rohingya crisis: Amnesty

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Aug 2018, 06:24 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, আগস্ট ২৫ : রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট বছর পেরোলেও বিশ্বনেতাদের ব্যর্থতার কারণে রাখাইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে মনে করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ অভিমুখে রোহিঙ্গাদের ঢল শুরু হয়। এরপর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমান অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনী কিভাবে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ চালিয়েছে তারও ব্যবপাক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি।


শুক্রবার অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও সেখানে স্থলমাইনও ব্যবহার করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, জোরপূর্বক অনাহারে রাখা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনাও সেখানে ঘটানো হয়েছে।


অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বিবৃতিতে বলেন, ‘এই বর্ষপূর্তি লজ্জাজনক একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। মানবতাবিরোধী সেইসব অপরাধীর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ব্যর্থতার মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিপদজনক যে বার্তা দিয়েছে, তা হলো মিয়ারমারের সেনাবাহিনী শুধু দায়মুক্তিই ভোগ করবে না, তারা আবারও এ ধরনের নৃশংসতা চালাতে পারবে। আমাদের অবশ্যই আর এমন ঘটনা ঘটতে দেয়া উচিত হবে না।’


তিনি আরও বলেন, এক বছর হলো লাখ লাখ রোহিঙ্গা পরিকল্পিত হামলার মুখে পালিয়ে এখনো বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে অমানবিকভাবে বসবাস করছে। পাশাপাশি তাদের নির্যাতনকারী মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ স্বেচ্ছায় ঘরে ফেরার বিষয়টি উপহাসের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ খুলতে গত জুনে জাতিসংঘ এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হলেও এর খসড়া ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তা আর আলোর মুখে দেখেনি। তবে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর আগে সেখানে ব্যাপক সংস্কারকাজ চালাতে হবে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।


গত জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে (উই উইল ডেস্ট্রয় এভরিথিং) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দমন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ১২ জনের নাম উঠে আসে। এদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান জেনারেল মিনও রয়েছেন। সংগঠনটি এদেরকে আটক করে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ করেছে।