Bangladesh

Who will be the Deputy Leader in Bangladesh Parliament?

Who will be the Deputy Leader in Bangladesh Parliament?

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 Jan 2019, 05:10 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ৮: কে হচ্ছেন একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা? সোমবার গঠিত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া সিনিয়র কোনো নেতা নাকি অন্য কেউ।

নেতাদের ধারণা দলের সিনিয়র নেতা সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সাবেক এলজিআরডিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন- এই চারজন থেকেই উপনেতা হতে পারেন।


বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক পাননি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায়। সংসদ উপনেতা পদের দিকে তাকিয়ে আছেন বাদ পড়া মন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করলে ‘সংসদ উপনেতা’ নির্বাচন করা হবে। সাধারণত প্রবীণ কোনো নেতাকেই সংসদ উপনেতা বানানো হয়। যেমন- দশম সংসদে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে উপনেতা বানানো হয়েছিল। বয়স এবং শারীরিক অবস্থার কারণে সাজেদা চৌধুরীকে আবার উপনেতা করা সম্ভব নয়। এ পদে নতুন কেউ আসবেন। তবে এ পদে আসার মতো যোগ্য অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে রয়েছেন।


উপনেতা এবং মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর কয়েকজন উপদেষ্টা থাকেন। এসব পদে সিনিয়র নেতাদের আনা হতে পারে। এর আগে যারা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ছিলেন তারা বাদ পড়তে পারেন। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ইতোমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর হাতে এখনও কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে।


গত মন্ত্রিসভার আকার ছিল ৫৩ সদস্যের। এবার প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ ৪৭ জন শপথ নিয়েছেন। সে হিসেবে মন্ত্রিসভার আকার আরও বাড়বে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তখন বাদ পড়া সিনিয়র নেতাদের জায়গা হতে পারে।


এবার মন্ত্রিপরিষদ থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা হলেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানতল হক ইনু, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাপা), পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী নতরুল ইসলাম নাহিদ, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ (ডিলু), খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বেসামরিক ও বিমান পরিবহনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।