Bangladesh
Terrorism risk has reduced in Bangladesh
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে এ তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ডট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ)।
সিটিটিসি প্রধান মনিরুল বলেন, গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থেকে ছয় ধাপ কমে বাংলাদেশ ৩১ নম্বরে এসেছে। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় যে সফলতার পরিচয় দিচ্ছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো যে সক্ষমতা দেখিয়েছে সেটি বিশ্ব দরবারে প্রচারে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশের মিডিয়া।ভবিষ্যতে উগ্রবাদ বা জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় মিডিয়াকে এ সংক্রান্ত সংবাদ সতর্কতার সাথে পরিবেশনেরও আহ্বান জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে সহিংস উগ্রবাদ দমনে সুর্নির্দিষ্ট জাতীয় কোনো স্ট্র্যাটেজি নেই। এটা করতে সময় লাগে। তবে আমরা কাউন্টার ভায়োলেন্স এক্সট্রিমিজম (সিভিই) করতে যাচ্ছি। দুইভাবে আমরা কাজটা করছি। প্রথমত জেনারেল অ্যাপ্রোচ এবং দ্বিতীয়ত ভালনারেবল অ্যাপ্রোচ। সেজন্য আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলছি।
উগ্রবাদে জড়ানোর প্রবণতার বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ছেলেরা সবচেয়ে বেশি উগ্রবাদে জড়াচ্ছে। এসব ভালনারেবল গ্রুপকে মোটিভেট করতে তরুণ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করছি। একইসঙ্গে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, দেশের বাইরের লোক মনে করে বাংলাদেশের রাস্তায় বের হলে জঙ্গিরা চাপাতি দিয়ে কোপানো শুরু করে। বাস্তব অবস্থাটা গণমাধ্যমকেই প্রচার করতে হবে। যারা অভিযান চালাবে তাদের স্বচ্ছতা থাকতে হবে। মিডিয়া হাউজের সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি রয়েছে। এটা বাড়াতেই সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
