Bangladesh

Teknaf: 3 Rohingyas killed in gunfight

Teknaf: 3 Rohingyas killed in gunfight

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Apr 2019, 08:15 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ১: কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সাথে পৃথক 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা এক নারীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে এই প্রথম কোন নারী ইয়াবা কারবারি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।

নিহতরা হলেন, মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু রাম্বীবিল এলাকার বদরুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা আক্তার (২০), হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবরপাড়ার মিয়া হোসনের ছেলে মাহামুদুর রহমান (২৮) ও হোয়াইক্ষ্যং নয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আফছার (২৫)।


কক্সবাজারের টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই প্রথম কোনো নারী ইয়াবা কারবারি নিহতের ঘটনা ঘটে। রোববার ভোরে নাফ নদীর কিনারায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয় ওই রোহিঙ্গা নারীর। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩টি লোহার ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।


নিহত রুমানা আক্তার (২০) মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু রাম্বীবিল এলাকার বদরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক নং-সি/৬ এর ৪০ নম্বর রুমে বাস করতেন। এ ঠিকানা তার ভ্যানিটি ব্যাগে পাওয়া গেছে বলে বিজিবি জানায়।


এদিকে রোববার সকালে টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ স্থানীয় দু’যুবক নিহত হয়। তারা ইয়াবা কারবারি বলে জানিয়েছে পুলিশ।


টেকনাফ-২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানিয়েছেন, রোববার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া ওমরখাল নাফনদী এলাকায় নিয়মিত টহলে যায় বিজিবির সদস্যরা। এ সময় কিছু লোক মিয়ানমার থেকে ওমর খাল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশে করছে দেখে তাদের থামার জন্য সংকেত দেয়া হয়।


বিজিবির সংকেত অমান্য করে তারা উল্টো বিজিবির টহলদলের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এতে বিজিবি টহলদলের এক সদস্য আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি টহলদল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষে প্রায় ১০-১৫ মিনিট গুলি বিনিময় চলে।


তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে অস্ত্রধারী চোরাকারবারীরা গুলি করতে করতে খালের কিনারা দিয়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ থামার পর ভোরের আলোতে টহলদলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে এক নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নৌকার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়রা তাকে রোহিঙ্গা নারী বলে সনাক্ত করে। এ সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩টি লোহার ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। পরে তার ভ্যানিটি ব্যাগে তার পরিচয়পত্রটি পাওয়া যায়।