Bangladesh
Star line bus falls in gorge, 4 killed
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়া হয়েছে। তাদের মাঝে ঝর্ণা বেগম (৩৫) নামে এক নারী যাত্রীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। বাকিদের নাম-ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। অন্য দিকে আহত যাত্রীদের চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে রাতে অন্তত ১৪ জনকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন (৩০), মোহাম্মদ তানভীর (২৬), আমির হোসেন (৩৫), শাহাদাত হোসেন (২৫), জহির আহমদ (৩০), কাউছার তালুকদার (৩৭), মোহাম্মদ ফিরোজ আহমদ (৫০), মহসিন উদ্দিন (৪৮), মোজাহের উল্লাহ (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), সুমাইয়া আক্তার (১০), সুমি আক্তার (১৮), ছিদ্দিক আহমদ (২২) ও আবু করিম (৪৮)।
ওসি বলেন, হতাহতদের উদ্ধার কাজে ব্যস্ত থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের পরিচয় জানতে চেষ্টা চলছে।
চিরিঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল স্টার লাইন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-২৩৪৩) একটি বাস। ওই সময় বাসটি কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া স্টেশনের অদূরে পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে ৪ যাত্রী নিহত ও অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হন।
বিষয়টি জানতে স্টার লাইন কক্সবাজার ঝাউতলা অফিসে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আবুল কাশেম নামে একজন বলেন, আমি নৈশপ্রহরী। ম্যানেজার ও অন্যরা চলে গেছেন। আমাদের একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে, এটা জেনেছি। আমাদের গাড়িতে করে ফেনী ও নোয়াখালীর লোকজন বেশি যাতায়াত করেন। আজও হয়তো সেখানকার যাত্রী ছিল।
