Bangladesh
Sheikh Hasina reaches Canadian city hosting G7 Summit
এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ২টায় কেব্যাক সিটির জিন লিসএজ বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের নেত্রী।
কানাডায় বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান ওনাকে স্বাগত জানান।
আগামী ৯ জুন এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
টরন্টো থেকে এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী সামিট যেখানে অনুষ্ঠিত হবে সেই কেব্যাকে পৌঁছাবেন।
ঢাকা থেজে যাত্রা শুরু হওয়ার পড়ে দুবাই।
জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডা যাচ্ছেন হাসিনা।
আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন।
সেখানে হাসিনা ছাড়াও যোগ দেবেন কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধান ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান।
হাসিনার মতন সেই নেতাদেরও এই সম্মেলনে যোগ দিতে আহ্বান করেছেন কানাডিয়ান সরকার।
শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে উনি রওনা দেন ঢাকার বাইরে।
আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে দুবাই শহরে পৌঁছান উনি।
সেখানে ওনাকে স্বাগত জানান আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা আজ ঢাকার বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হাসিনাকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১৬ সালে জাপানে এবং ২০০১ সালে ইতালিতে এই সম্মেলনে যোগ দেন। এবার তৃতীয় দফায় এই বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। উন্নয়ন দেশের নেতা হিসেবে তৃতীয় বার তার এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ নজিরবিহীন।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলি বলেন, এটা বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ভূমিকার স্বীকৃতি। জলবায়ু পরিবর্তন, নারী ও শিশু বিষয়ক এবং ব্লু ইকোনোমি নিয়ে ‘তার (শেখ হাসিনার) চিন্তা-ভাবনা, দর্শন ও কর্মকান্ডেরও স্বীকৃতি এটা’। কানাডা ছাড়া জি-সেভেনের বাকি ছয় সদস্য দেশ হল ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এবার আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জি টোয়েন্টি জোটের বর্তমান সভাপতি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট; ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ার হাইতির প্রেসিডেন্ট; জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী; কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট; মার্শাল আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট; নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী; আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ার রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট; সেনেগালের প্রেসিডেন্ট; সেশেলসের প্রেসিডেন্ট; দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট; ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী; আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর এমডি; অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সেক্রেটারি জেনারেল; জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের ফাঁকে অন্যদের দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। সেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনি দন্ডিত নূর চৌধুরীকে ফেরত আনার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। সমুদ্রকে দূষণ থেকে রক্ষা করা এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিকূলতা মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি-প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার আউটরিচ সম্মেলন হবে। সফর শেষে ১২ জুন দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
