Bangladesh

Sheikh Hasina insists party men to think about new leadership

Sheikh Hasina insists party men to think about new leadership

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 May 2018, 04:53 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ১৮: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও নতুন নেতৃত্বর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।

তিন যুগের বেশি সময় ধরে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ হাসিনা নিজের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ৩৭তম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের শুভেচ্ছা গ্রহণের পর তিনি একথা বলেন।


তিনি বলেন নতুন নেতৃত্বের কথা ভাবা উচিত। একটা দলের সভাপতি হিসাবে ৩৭ বছরের বেশি থাকা সমীচীন হবে না।


দুই বছর আগে আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি নিজের জীবদ্দশায় নতুন নেতৃত্বের হাতে দলের দায়িত্ব দেখার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় পৌনে ছয় বছর সপরিবারে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা।

 

এর আগে একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর থেকে টানা ৩৭ বছর ধরে দলের হাল ধরে আছেন শেখ হাসিনা।


এসময় শুভেচ্ছা জানাতে যাওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সমস্বরে ‘না না’ বলে চিৎকার করে ওঠেন।


১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, একাশি সালে আওয়ামী লীগের কনফারেন্সে আমার আজান্তেই আমাকে দলের সভানেত্রী করা হয়। আওয়ামী লীগের মতো এতো বড় দলের দায়িত্ব চাইনি।


আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য রাজনীতি করেননি।


প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের বলেন, “বারবার বাধা এসেছে, আসবে; এটাই স্বাভাবিক। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি। ষড়যন্ত্রের তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি।”


প্রাণনাশের জন্য হামলার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “মৃত্যুকে আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি। মৃত্যুকে আমি পরোয়া করি না।”   


যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যারা সাক্ষী দিয়েছিল, তারা যেন কোনোভাবেই নির্যাতনের শিকার না হন; সেজন্য নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
"সবাইকে নজর রাখতে হবে; যারা সাক্ষী দিয়েছে, তাদের ওপরও কিন্তু অত্যাচার হয়েছে। এমন বহু ঘটনা আমার কাছে এসেছে।”


সাক্ষীদের অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ হবে বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারাও সমঅপরাধী। অপরাধী হিসাবে একইভাবে বিচার হবে।”