Bangladesh
Shahed confesses to fraud during interrogation
তিনি বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনা পরীক্ষার যেসব রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তার বেশিরভাগই ভুয়া ছিল। রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি রাখলেও ওই যন্ত্রপাতি দিয়ে করোনার কোনো টেস্ট করা হতো না। সেগুলো শুধুমাত্র হাসপাতালে শো-করে রেখেছিল। তবে র্যাবের অভিযান পরিচালনার আগেই সাহেদ ওই সব যন্ত্র অন্য জায়গাতে সরিয়ে ফেলে বলেও স্বীকার করেছে সাহেদ।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, আমরা তার ওইসব যন্ত্রপাতি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। যদি প্রয়োজন হয় তবে সাহেদকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সাহেদকে রিমান্ডে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সাহেদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন যারা, এমন কোনো ভুক্তোভোগী অভিযোগ করতে চাইলে ডিবি পুলিশ তাদের অভিযোগ নেবে। আমরা ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তাও দেবো।
এদিকে সাহেদ করিমকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে কাঠগড়ায় ঢুকেই বারবার পানি চান। পানি দেয়ার পর ফের পানি চান। পানি দেয়া নিয়ে পুলিশ ও সাহেদের আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কও হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে সাহেদ-মাসুদ ও তারিকুলকে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাদের রাখা হয় আদালতের কাঠগড়ায়। আসামিদের চেনার সুবিধার্থে পুলিশ সদস্যরা তাদের মাথার হেলমেট খুলে দেন। এ সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে সাহেদ বলেন, ‘আমার হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে দেন’। এরপর একজন পুলিশ সদস্য তার তাদের হ্যান্ডকাপ খুলে দেন। সাহেদ পানি খেতে চান। এর মধ্যে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এ সময় তিনি আবারও পানি খেতে চান। তখন আদালতের এক স্টাফ তাকে একটি পানির বোতলে করে পানি দেন। সে অনেকটা পানি পান করে বোতল আবার আদালতের স্টাফকে নিয়ে দেন।
একটু পর তিনি আবার পানি পান করতে চান। এর মধ্যে রিমান্ড শুনানি শেষে সাহেদ-মাসুদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর তাদের সহযোগী তারিকুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ বলেন, ‘আমি কি একটা কথা বলতে পারি?’ এটি বলেই কাঠগড়ার ভেতরে কান্নাকাটি শুরু করেন সাহেদ। এরপর তাদের কাঠগড়া থেকে বের করা হয়।
