Bangladesh

Several trucks stuck in Petropol
Amirul Momenin

Several trucks stuck in Petropol

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 27 Apr 2020, 06:25 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২৭ : বাংলাদেশ ও ভারতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। তারই জেরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর এলাকার অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।

বেনাপোলে নেই কোনো শিল্প-কারখানা। বেনাপোল স্থলবন্দর ঘিরে জীবিকার জন্য নির্ভরশীল কয়েক হাজার মানুষ। এই পথে আমদানি-রফতানি দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকায় রোজগারে টান পড়েছে শ্রমিকদের। স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল-পেট্রাপোল।


একই সঙ্গে বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার শ্রমিক। বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্ট কয়েক’শ এনজিওকর্মীরও একই অবস্থা। ভারত দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সিংহভাগ পণ্য আসে এই বন্দর দিয়ে। আপাতত বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত এলাকার মানুষ করোনা নয়; রুজি-রুটি হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন।


গত ২২ মার্চ ভারতে কারফিউ থাকায় বন্ধ থাকে আমদানি-রফতানি। এরপর ২৩ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা দেয় ভারত।

এর মধ্যে ২৩ মার্চ রাতে হঠাৎ ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তার সময়সীমা ছিল গত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর আবারও বাড়ানো হয় লকডাউনের সময়সীমা, যা এখনও চলছে। কবে উঠবে লকডাউন তাও কেউ বলতে পারছেন না।


বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধের ফলে উভয় সীমান্তে আটকা পড়েছে কয়েক হাজার পণ্যবোঝাইট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের ও দেশীয় বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল। যেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায়।


গত ২২ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্যবাহীট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য নিয়েট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে যায়নি। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।


প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ট্রাকযোগে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়। ভারতে রফতানি হয় দেড়শ থেকে ২০০ট্রাক বাংলাদেশি পণ্য। প্রতি বছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা আমদানি পণ্য থেকে ও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। কিন্তু এখন সবই স্থবির।