Bangladesh
Several houses damaged in Padma incident
ভাঙন আতঙ্কে অনেকে তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ স্থানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সামনে দিয়ে ফেরিঘাট বরাবর পদ্মা নদীতে তীব্র স্রােত বইছে।
এতে গত কয়েকদিনের ভাঙনে ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরিঘাটসহ সিদ্দিক কাজীপাড়া এলাকার প্রায় ছয় শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে অন্য ঘাটসহ পুরো এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে বালুর বস্তাগুলো পানির গভীরে নিয়ে যাচ্ছে পদ্মার স্রােত। ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে নদীপারের বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ও স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন। ভাঙন দেখতে উৎসুক জনতা নদীর পারে ভিড় করছেন।
এদিকে ভাঙন রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলেও স্রােতের সঙ্গে পেরে উঠছে না। প্রয়োজনের তুলনায় তাদের লোকবলও কম। পুরো ঘাট এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে থাকলেও শুধু ১ নম্বর ও ২ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে। অপরদিকে পদ্মায় তীব্র স্রােতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে পর্যাপ্ত ফেরি চলছে না। দুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। ফলে এ রুটের যানবাহন ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি ঘাট এলাকার রাস্তার পাশে স্তূপ করে রেখেছেন। যাওয়ার জায়গা না থাকায় কেউ কেউ অস্থায়ী টঙ ঘর বানিয়ে খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। সবার চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
ক্ষতি¯্রস্তরা জানান, ভাঙনের তীব্রতা এত বেশি যে মুহূর্তের মধ্যে সব ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে কোনো রকম ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা। যাওয়ার জায়গা না থাকায় রাস্তার পাশে ঘরগুলো রেখেছেন।
পদ্মার এমন ভয়াবহ স্রােত তারা এর আগে কখনও দেখেননি। তারা আরও জানান, ভাঙন শুরু হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। কিন্তু সেটা ঘাট রক্ষার জন্য, বসতবাড়ি রক্ষার জন্য নয়। তারপরও যে পরিমাণ বস্তা ফেলা প্রয়োজন সে তুলনায় কোনো কাজ হচ্ছে না। ঘাট ও এলাকা রক্ষা করতে হলে হাজার হাজার বালুর বস্তা ফেলতে হবে।
