Bangladesh
Rohingya hindus massacred by ARSA militants in Myanmar: Amnesty
হত্যার এই ঘটনাটি ঘটেছিল আগস্ট মাসে।
নিহতদের মধ্যে ছিল শিশুও।
প্রতিবেদনের মাধ্যমে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের এই অঞ্চলে হিন্দুদের উপরে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেছেন এই সংস্থা।
নিজেদের এই প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছেন যে রাখাইনের মধ্যে ও বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় তদন্ত করে তারা হিন্দুদের নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ওনারা জানিয়েছেন যে আরও হিন্দু গ্রামবাসীকে অপহরণ ও আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও এই অঞ্চলে হয়ে থাকতে পারে।
অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স পরিচালক তিরানা হাসান একটি সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেনঃ "আরসার কর্মকাণ্ডের নৃশংসতার দিকটি উপেক্ষা করে যাওয়া খুবই কঠিন। তাদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া যেসব ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তাদের ওপর এই বর্বরতার প্রভাব রয়েছে।"
বিবৃতিতে বলে হয়েছে যে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট সকাল ৮টার দিকে রাখাইনের মংডুর উত্তরাঞ্চলের আহ নুক খা মং সেইক গ্রামে হিন্দুদের উপরে চড়াও হন সন্ত্রাসীরা।
এই সময় ঘর-বাড়ি লুটের পর ৫৩ জন হিন্দুকে চোখ বেঁধে গ্রামের বাইরে নিয়ে হত্যা করে এই হামলাকারীরা।
“আরসা যোদ্ধাদের চাপে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি হওয়ায় আট নারী ও তাদের আট শিশু সন্তানকে তুলে নেওয়ার পর মুক্তি দেওয়া হয়," জানানো হয় এই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই বীণা বালা নামের একজন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে জানিয়েছেন যেঃ "তাদের কাছে ছুরি ও বড় বড় রড ছিল। তারা আমাদের হাত ও চোখ বেঁধে রাখত। তাদের একজন বলেছিল, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আমরাও রাখাইনদের মতো এবং এখানে বাস করতে পারব না। তারা আমাদের বেশ কয়েকবার মারধর করে। এক সময় আমি তাদেরকে আমার সোনার গয়না ও টাকা দিয়ে দেই।”
এই আটজন যারা বেছে গেছেন জানিয়েছেন যে তারা তাদের হিন্দু আত্মীয়কে মরতে দেখেছেন বা তাদের আর্তনাদ শুনেছেন।
অপর ৪৬ হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশু সেই দিনেই গুম হয়েছিলেন পাশের ইয়ে বাউক কিয়ার গ্রামে।
এখন ধারণা করা হচ্ছে যে এই মানুষদের হত্যা করেছে আরসা যোদ্ধারা।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা বসতিতে গত বছর থেকে দমন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ ও সেনা চৌকিতে হামলার পর থেকেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা এই মুহূর্ত পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
Image: Amnesty International Website
