Bangladesh
Rohinga protest at CoxBazaar Teknaf
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, আগস্ট ২৬ : ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট নিজ দেশের সেনাবাহিনী, বিজিপি ও উগ্রবাদী বৌদ্ধদের পাশবিক নির্যাতনে প্রাণ হারান অসংখ্য রোহিঙ্গা।
প্রাণে বাঁচতে পাহাড়, মাঠ, নদী পার হয়ে জিরোপয়েন্টে এসে জড়ো হয় লাখো রোহিঙ্গা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় পায়। নিজেরা প্রাণে বাঁচলেও স্বজনদের হারিয়ে দিনটিকে কালদিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। সেদিনের ঘটনার বিচার ও মর্যাদা এবং নিরাপত্তা নিয়ে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার কুতুপালং বাজারে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। একই সময়ে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকে মিছিলের পাশাপাশি সমাবেশ হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়।
কালোদিবসে কুতুপালং ক্যাম্পে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, নিজ দেশে চরম নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার আমাদের মমতায় আশ্রয় দিয়েছে। সব রকমের সহযোগিতাও দিচ্ছে। এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। কিন্তু আশ্রিত হয়ে আমরা কতদিন অন্যের ঘাড়ে পড়ে থাকব। সবকিছু পেলেও এখানে অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
কিছুদিন পর আমরা এদেশের বোঝাতে পরিণত হব। তাই স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। আন্তর্জাতিক মহলকে অনুরোধ জানাচ্ছি, মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। যাতে তারা আমাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন করায়। কারণ আমাদের নিতে মিয়ানমার সামরিক জান্তা টালবাহানা শুরু করেছে। এ ছাড়া সেদিনের ঘটনার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান রোহিঙ্গা নেতারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার ঢল নামে। রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কথা বলে সে দেশের সেনাবাহিনী ধরপাকড় চালায়। সেখানে নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও গণধর্ষণ চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার ঢল নামে। রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার কথা বলে সে দেশের সেনাবাহিনী ধরপাকড় চালায়। সেখানে নির্যাতন, বাড়িঘরে আগুন ও গণধর্ষণ চালালে রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
