Bangladesh

Rescued Zebras from Jessore now finds a safe heaven to reside

Rescued Zebras from Jessore now finds a safe heaven to reside

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 May 2018, 12:59 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, মে ১০ : যশোরের শার্শায় একটি গরুর হাটের খাটাল থেকে উদ্ধার হওয়া ৮ জেব্রা অবশেষে নিরাপদ আবাস পেয়েছে। তাদেরকে বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে।

জেব্রাগুলোকে বুধবার বিকালে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে জেব্রাগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। 


সাফারি পার্কের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের মে থেকে এ বছরের মার্চে জন্ম নেওয়া তিনটি শাবকসহ সাফারি পার্কে মোট ১৪টি জেব্রা ছিল।

 

এখন জেব্রা পরিবারের সদস্য সংখ্যা ২২ হলো। তবে যশোর থেকে আনা একটি পুরুষ ও সাতটি মাদি জেব্রার সবাই শারীরিকভাবে দুর্বল।

 

তাদের মধ্যে একটি খোড়াচ্ছে। দ্রুতই তাদের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন।


যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া-সাতমাইল গরুর হাটের একটি খাটাল থেকে বুধবার আটটি জ্রেবা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

 

ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে মোট ১০টি জেব্রা আনা হয়েছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি জেব্রা মারা যায়।


গোয়েন্দা পুলিশ ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধার হওয়া জেব্রাগুলো আফ্রিকা প্রজাতির।

 

পাচারের নেপথ্যে বাণিজ্যের পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বাড়ানোর জন্যও সৌখিন ব্যক্তিরা জেব্রাগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন। মঙ্গলবার (৮ মে) রাতে জেব্রাগুলো আটকের পর কোন পথে, কীভাবে, কারা এই প্রণীগুলো যশোরে নিয়ে এসেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধানে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্গো বিমানে করে ১০টি জেব্রা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আর সেখান থেকে দুটি খাঁচায় করে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকার একটি গরুর হাটে (খাটাল) এনে রাখা হয়। পুলিশ জেব্রাগুলো উদ্ধারের সময় দুটি খাঁচা পাওয়া যায়। এই খাঁচার একটির ওপরে টার্কিশ সিল ছিল।

 

যা থেকে ধারণা করা যায়, জেব্রাগুলো তুরস্ক থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে।

 

উদ্ধার হওয়া ১০টি জেব্রার মধ্যে দু’টি মৃত পাওয়া গেছে। জেব্রাগুলোর মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

 

এগুলোর কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব মোল্লা।

 

তিনি বলেন, ‘এসব জেব্রা সাধারণত আফ্রিকান অঞ্চলে পাওয়া যায়। আফ্রিকান স্থানীয় কিছু উপজাতি ছাড়া সারাবিশ্বে জেব্রার মাংস কেউ খায় না। এছাড়া, জেব্রার শরীরের কোনও অংশ দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছুই তৈরি হয় না।’

 

তবে ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষণের জন্য এই জেব্রাগুলো আনা হতে পারে বলে ধারণা করছেন এই প্রাণিবিদ। তার ভাষ্য— ‘চিড়িয়াখানায় রেখে প্রদর্শন করা বা ব্যক্তিগতভাবে নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য এগুলো আনা হতে পারে। এছাড়া, জেব্রার আর তেমন কোনও ইউটিলিটি নেই।