Bangladesh

RAB says Shahed a fraudster, extremely cunning
File picture

RAB says Shahed a fraudster, extremely cunning

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 16 Jul 2020, 12:07 am
The Rapid Action Battalion has termed Mohammed Shahed an extremely cunning man after the fraudster was nabbed from Satkhira region on Wednesday. The Regent Hospital Chairman is presently at the DB office as officials wait for approval to take him into custody.

ব্যক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তার ছবি উঠিয়ে মানুষকে বোকা বানিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারনা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে ৫০টিও বেশি মামলা রয়েছে।
র‌্যাব ডিজি বলেন, সাহেদ করিমকে ডিএমপি’র তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্থান্তর করা হচ্ছে। পরবর্তী ব্যবস্থা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেবেন। যিনি তদন্ত করবেন তিনি একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা, তার মেধা, দক্ষতা এবং আইনের আলোকে উনি তার ব্যবস্থা নেবেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাবের হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‌্যাব ডিজি এসব তথ্য জানান।
বিকেলেই গ্রেফতারকৃত সাহেদকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে হস্থান্তর করা হয়।
র‌্যাব ডিজি বলেন, সাহেদ পালিয়ে থাকার সময় আমরা তাকে ফলো করেছি, সব পয়েন্ট যদি আমরা জানতে পারতাম তাহলে তখনই তাকে আমরা ধরতে পারতাম। আমরা যখনই তাকে পিনপয়েন্ট করতে পেরেছি তখনই তাকে  গ্রেফতার করেছি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে গ্রেফতারের পর আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করার রপর ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার উত্তরায় তাকে নিয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। সেখান থেকে আমরা ১ লাখ ৪৬ হাজার জাল টাকা উদ্ধার করেছি। আমরা যে তথ্য পাই এই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে থাকি।
র‌্যাব প্রধান বলেন, ধৃত সাহেদ ঢাকা থেকে অন্যত্র গিয়েছেন, আবার ঢাকাতেই এসেছেন।  এক্ষেত্রে কখনও তিনি নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেছেন, কখনও পায়ে হেঁটে, আবার কখনও ট্রাকে কিংবা বহিরাগত গাড়ি ও ট্রাকযোগে চলাফেরা করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে সে অনেক কথা বলেছে। সেসব কথা তদন্তের স্বার্থে বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে একেক দিন একেক জায়গায় থাকতো সাহেদ। দীর্ঘ ৯ দিন সে ঢাকা, কুমিল্লা ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে কৌশলে পালিয়ে ছিল। সরকারের নির্দেশে ও চুক্তিমতে বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের রোগীদের পরীক্ষা করার কথা থাকলেও সাহেদ করোনা টেষ্ট্রের নামে সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে সে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক পরীক্ষা করে ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে সাহেদের প্রতিষ্ঠান। একদিকে রোগীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, আরেক দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিলের জন্য জমা দিয়েছে সাহেদের হাসপাতাল রিজেন্ট।