Bangladesh
PM wants Muktijoddha quota to stay in case of jobs
কাজেই সরকারি চাকরিতে তাদের কোটা থাকা উচিৎ।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেয়া হয়।
আমাদের অনেক এলাকা অনুন্নত তাদের, মেয়েদের এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা করা হয়।
হঠাৎ শিক্ষার্থীরা এই পদ্ধতি বাতিল করার জন্য আন্দোলনে নামে। আমি চিন্তা করলাম বিশ্ববিদ্যালয় হলে যারা থাকে তারা তো এসব গ্রাম থেকেই আসে। তারাই যদি এই পদ্ধতি না চায়, যাদের জন্য করি তারাই যদি না চায়, তাহলে এটি রাখার দরকারটা কি।‘চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকতে হবে, কমানো যাবে না’ বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাটা থাকতে হবে, কমানো যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের ছাত্ররা যারা উচ্চ শিক্ষা পায় সবচেয়ে কম খরচে তারা পড়ালেখা করেন।
এ সময় তাঁর দুই সন্তানের পড়ালেখার খরচ জোগানের কষ্টের কথা তুলে ধরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শেখ হাসিনা। টাকার অভাবে তার ছেলেমেয়েরা পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি করতেন বলেও তিনি সংসদে জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদবদ্রব্য পরিবারকে ধ্বংস করে, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে। সংসার যখন ধ্বংস হয় দেশও ধ্বংস হয়। দেশে মাদকাসক্তের ভয়াবহ অবস্থা।
কাজেই এটার বিরুদ্ধে অভিযান যে যাই বলুন তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার একটি সফল পুঁজি বাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেখানে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জে একটা ডিজিটাল পদ্ধতি গড়ে তোলা হয়েছে। পুঁজি বাজারের সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য কর্মীদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতুর খরচ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেনি।
১৯৬৪ সালের পরিকল্পনায় ছিল।
এটা বঙ্গবন্ধুই উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
আমরা সে ডিজাইনটাকে পরিবর্তন করি।
একটা সাইট দিয়ে রেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন যাবে। এভাবে ডিজাইনটা ঠিক করা হলো।
এটা আমাদেরই করা। আমরা পদ্মা সেতুকে দোতালা সেতু বানাচ্ছি।
যদি ফ্লাট সেতু বানাতাম তাহলে দ্রুত হয়ে যেত।
আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে এটা করছি। এটা ধীরে ধীরে করছি, তাই এটার খরচ বেড়েছে।
