Bangladesh
Pakistan extends visa of the Bangladeshi diplomat
পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব হারাল এ কথ জানান। একইদিনে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে ইকবালের স্ত্রী ও ছেলের ভিসা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে তাদেরও ভিসা দেয়া হচ্ছিল না।
এদিকে ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ঈদের ছুটির পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যকার ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে ঝুলে থাকা সরকারি ভিসার আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। গত বছরের নভেম্বরে ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভিসা কর্মকর্তার পদ শূন্য হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ইকবাল হোসেন ওই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার নিজের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে আসায় গত ৯ জানুয়ারিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা দেন তিনি। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও চার মাস ধরে তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
গত ৩০ মার্চ ইকবালের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু পকিস্তানের পক্ষ থেকে ভিসা না দেয়ায় তিনি মেয়েকে নিয়ে ইসলামাবাদে রয়ে যান। তার স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। কারণ পাকিস্তানের ভিসা দেয়া হয়নি ইকবাল হোসেনের স্ত্রী ও ছেলেকে।
কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, ভিসা নেয়ার জন্য ইকবালের স্ত্রী ও ছেলেকে পাকিস্তান হাইকমিশনে ডেকে আনার পর ঘণ্টাব্যাপী বসিয়ে রেখে তাদের পরে আসতে বলা হয়। পরপর তিনবার একই ঘটনা ঘটানো হয়। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মানবুাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের কূটনীতিককে ভিসা না দেয়ার ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তানের সব নাগরিককে বাংলাদেশের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
তবে গত ২১ মে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের কাছে এমন কোনো নির্দেশনা না দেয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘উল্টো পাকিস্তানই আমাদের লোকদের ভিসা দিচ্ছে না।’ এ ইস্যুতে পাকিস্তান জোর করে বাংলাদেশের সঙ্গে ঝামেলা করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
