Bangladesh

Micro driver scared after hitting people

Micro driver scared after hitting people

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 31 Aug 2020, 07:37 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৩১ আগস্ট ২০২০ : রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় পর্বতারোহী রেশমা নাহার পাশ থেকে ধাক্কা মারেন মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম। ধাক্কা মারার পর লোকজনের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান তিনি। এরপর শুনতে পান তার গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছেন তরুণ অভিযাত্রী রেশমা নাহার।

রোববার (৩০ আগস্ট) ঘটনার দায় স্বীকার করে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে জবানবন্দি দেন মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম। জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এদিন দুই দিনের রিমান্ড শেষ তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। চালক ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক এস এম মোবারক হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপরদিকে চালক দারুস সালামের আইনজীবী ইমরুল হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন শুনানির জন্য সোমবার (৩১ আগস্ট) দিন ধার্য করেন।

 

জবানবন্দিতে মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম বলেন, ‘আমি রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে দিয়ে মাইক্রোবাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় রেশমা নাহার সাইকেলে আমার মাইক্রোবাসের ধাক্কা লাগে। ধাক্কা মারার পর আমি লোকজনের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যাই। এরপর আমি শুনতে পাই আমার মাইক্রোবাসে ধাক্কা লাগা সাইকেলারোহী তরুণী মারা গেছেন’।

 

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৬ আগস্ট রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় একটি টয়োটা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এই গাড়ি মালিকও তিনি।

 

এই মামলায় মো. নাঈম নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় ১২ সিটের একটি কালো রঙের হাইস মাইক্রোবাসও জব্দ করে পুলিশ। নাঈমকেও আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

 

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় গাড়ির ধাক্কায় মারা যান তরুণ অভিযাত্রী রেশমা নাহার রতœা।