Bangladesh
Lockdown imposed on Rajabazaar
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সোমবার ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এলাকার জন্য গঠিত কমিটির এক অনলাইন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অনলাইন সভায় অন্যান্যের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, এটুআইয়ের প্রতিনিধি রেজাউল জামি, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার, শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিনিদিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত : ১) পূর্ব রাজাবাজার এলাকার নাজনিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এটুআই, ই-কমার্স অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
২) এলাকায় একটি মাত্র প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ (গ্রিন রোডে আইবিএ হোস্টেলের পাশে) খোলা থাকবে।
৩)লকডাউন চলাকালে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
৪) জনগণের চলাচল অত্যন্ত সীমিত রাখা হবে।
৫) লকডাউন চলাকালে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বসবাসরত লোকজন বাইরে যেতে পারবেন না এবং বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৫) নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে, যা বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে।
এটুআই ও ইক্যাব যৌথভাবে এটি পরিচালনা করবে। হোম ডেলিভারির জন্য ইতোমধ্যে একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী তৈরি করা হয়েছে।
৬) যাদের অনলাইন সুবিধা নেই, নগদ অর্থে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে চান তাদের জন্য দু-একটি শাক-সবজি, মাছ-মাংসের ভ্যান, ভ্যানচালক ও পণ্যসামগ্রী সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।
