Bangladesh
Life in Dhaka becoming normal again
আজও একই অবস্থা বিরাজমান। তবে সম্প্রতি রাজধানীর দুটি এলাকায় লকডাউন বলবৎ করা হয়েছে।
স্থান দুটি হলো- তেজগাঁও থানার রাজাবাজার এবং ওয়ারি থানার একাংশ। বাদ বাকি এলাকায় জনজীবন ক্রমশ: স্বভাবিক হয়ে এসেছে।
মানুষ করেনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিকে তোয়াক্কা না করে কাজে নেমে পড়েছে। ফলে রাজধানীতে এখন আগের মত যানজট দেখা যাচ্ছে।
গত মাসে কথিত লকডাউন শিথিল করার পর প্রতিদিনই রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে নগরজীবন।
গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পরবর্তী দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে ১ জুন সীমিত পরিসরে প্রায় সবকিছু খুলে দেয়া হয়।
এরপরও জুন মাসে ভীতির কারণে রাস্তাঘাটে সীমিতসংখ্যক মানুষ ও যানবাহন দেখা যেত। চলতি জুলাই মাসে সব ভয়-ভীতি ঝেড়ে ফেলে একপ্রকার সবাই মাঠে নেমেছে। প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ঘরে বসে থাকায় আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই শ্রমজীবী মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।
বড় বড় শপিংমল ও মার্কেটসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জড়তা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বভাবিক কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে। তাদের কথায় গত ঈদে বেচা-কেনা না হলেও এখন ধীরে ধীরে তা বাড়ছে।
পাইকারি বাজারে করেনার প্রভাব যেটুকু পড়েছিল ইতিমধ্যে তা পুরোপুরি কেটে গেছে। বিষ্ময়কর হচ্ছে, সরকার নগরবাসসীকে বারবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানালেও বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষ এ ব্যাপারে উদাসীন।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে ‘দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে।তাই খুলে রেখেছি’।
এদিকে স্বস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গণপরিবহন চলাচলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও তারাও ক্রমশ: উদাসীন হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানীতে চলাচলকারি গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তাছাড়া দূরপাল্লার যানে যাত্রী নেই বললে চলে।
সবচেয়ে বেশী দু:শ্চিন্তা গার্মেন্টস ফ্যঅক্টরীগুলোর কর্মীদের নিয়ে। তারা কর্মস্থলে স্বস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য হলেও বাসা-বাড়িতে গাদগাদি করে থাকছেন। এ কারণে ইতিমধ্যে সাড়ে তিন’শ গার্মেন্টস কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজধানী এবং এর আশেপাশে প্রায় ৭ হাজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। চাকরি হারাবার আতংকে তারাও কারোনার ভয়কে জয় করেছেন।
