Bangladesh
Lebanon: One maid murdered
গত ৯ বছর ধরে তিনি সেখানেই ছিলেন। এর মধ্যে তিনবার দেশে আসেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালে লেবাননে যান। সেখানে নিজে কাজ করতেন এবং একটি ঘর ভাড়া নিয়ে আরও ১০-১২ জন বিভিন্ন দেশের নারী কর্মীদের রাখতেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় শাহিনার। এর একদিন পর সুটকেসের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে লেবাননের প্রবাসীরা। ঘটনার পর থেকে শাহিনার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাবা-মা ও স্বজনরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মেয়েকে হারিয়ে এখন অনেকটা পাগল প্রায় মা-বাবা।
শাহিনা বেগম নওগাঁ শহরের সুলতানপুর মহল্লার আমজাদ হোসেনের মেয়ে। শাহিনা এক সন্তানের মা। ছেলের নাম রাজু আহমেদ। ২০০২ সালে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরপর বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে চলে যান।
শাহিনা বেগম লেবাননে খুন হওয়ার প্রতিবাদে তার হত্যার বিচার ও মরদেহ দেশে আনার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নওগাঁ জেলা শাখা। মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর আদালত চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে নিহত শাহিনা বেগমের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনসহ প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
নিহত শাহিনা বেগমের ছেলে রাজু আহমেদ বলেন, মা গৃহকর্মীহিসেবে লেবাননে ছিলেন। সেখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে ১০-১২ জন নারী কর্মীকে রাখতেন। তারা বিভিন্ন বাসায় ক্লিনারের কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে তাদের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল বলে মা জানান। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মাকে মেরে ফেলা হবে তা বুঝতে পারিনি। বাসায় যে নারী কর্মীরা ছিল তারা পরিকল্পনা করে আমার মাকে হত্যা করেছে। মায়ের হত্যাকারীদের বিচার ও মরদেহ দ্রুত দেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।
শাহিনার বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, সর্বশেষ ২০১৪ সালে গৃহকর্মী হিসেবে লেবাননে যায় শাহিনা। আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর পরদিন সুটকেসের ভেতর থেকে শাহিনার মরদেহ উদ্ধার প্রবাসীরা।
