Bangladesh

Laden: Terror masterminds words recorded

Laden: Terror masterminds words recorded

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Oct 2019, 08:31 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ৯ : ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠকে বসা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হুজিবির (হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ) শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার (৪৯) স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সেই সঙ্গে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আরেক শীর্ষ নেতা মো. বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২)। চারদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

 

অন্যদিকে সংগঠনের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীমের (৪৩) পুনরায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম তাদের তিনজনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদের মাঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে।

 

ডিএমপি জানায়, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আতিকুল্লাহ হুজিবির মুফতি হান্নানের ১৯৯৬ সালে গঠিত কমিটির সাংগাঠনিক সম্পাদক। পরে বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম দিকে তিনি দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন এবং সাংগঠনিক কাজে একাধিকবার পাকিস্তান যান।

 

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানান, আতিকুল্লাহ আফগান ফেরত যোদ্ধা ও বোমা বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন বিদেশে পলাতক থেকে এ বছর মার্চে দেশে ফিরে সংগঠনের পুরনো সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় করা এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠনের কার্যক্রম চালুর মিশন নিয়ে কর্মতৎপরতা চালান।

 

ইতোমধ্যে সংগঠনকে গতিশীল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সফর করেছেন এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন তিনি। পাকিস্তান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানে যুদ্ধকালীন সময়ে ওসামা বিন লাদেন, মোল্লা ওমর, আইমান আল জাওয়াহেরীসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন আতিকুল্লাহ।