Bangladesh

JMB conducts camp in Bangladesh hills
Amirul Momenin

JMB conducts camp in Bangladesh hills

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Nov 2019, 12:49 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২৬ : পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ের জমি লিজ নিয়ে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে তুলেছিল। সেখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।

জেএমবির আমিরসহ গ্রেফতার তিনজনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সাইদনগর এলাকা থেকে জেএমবির এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতার তিনজন হলেন- জেএমবির আমির আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে আব্দুল হাদী, হাবিবুর রহমান ওরফে চাঁন মিয়া ও রাজিবুর রহমান ওরফে রাজিব ওরফে সাগর। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থাকা ১৫০টি ডেটোনেটর, জিহাদি বই, একটি কমান্ডো ছুরি ও ২০ পিস জেলজাতীয় বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়ে স্থানীয়দের সহায়তায় জমি লিজ নিয়ে প্রথমে মাদরাসা তৈরি করে তারা। পরে সেখানেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়।’


তিনি বলেন, ‘কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট দীর্ঘদিন ধরেই নব্য জেএমবি ও পুরোনো জেএমবির ওপর বিশেষ নজর অব্যাহত রেখেছিল। তারই একপর্যায়ে ২৪ নভেম্বর (রোববার) রাজধানীর ভাটারার সাইদনগর এলাকা থেকে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে গ্রেফতার আবু রায়হান পুরোনো গ্লোবাল জামাআতুল মুজাহিদীনের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অস্থায়ী আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।’


মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার (২৪ নভেম্বর) আবু রায়হান গ্রেফতার বাকি দুই জঙ্গি চাঁন মিয়া ও রাজিবুর রহমানকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। হাবিবুরের বাসা ঢাকাতেই। আর রাজিবের বাড়ি নেত্রকোনার সীমান্ত এলাকায়। তার বাড়িতে নতুন জঙ্গি সদস্যরা সহজেই মিলিত হতো। গ্রেফতার তিনজন মূলত ডাকাতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়া জঙ্গি নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের আত্মীয় মাওলানা রাকীব নামে এক ব্যক্তি বিদেশে থেকে এদের অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে।


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের ওপর নব্য জেএমবির যে গ্রুপটি হামলা চালিয়েছিল, তার প্রত্যেকটিতে ৫ জনের একটি জঙ্গি সেল ছিল। তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করা গেছে।

ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দু’জন এখন দৌড়ের ওপর আছে। তাদের ছবিও পুলিশের কাছে এসেছে। তাদের সেই সেল ভেঙে দেয়া হয়েছে। আর নতুন করে যাতে সেল গঠন হতে না পারে সে জন্য চেষ্টা অব্যাঘু রয়েছে।’