Bangladesh
Jessore: Investigating team to quiz five correctional facility officials
একই সঙ্গে শ্যোন অ্যারেস্ট আট কিশোরকে সাতদিনের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক রকিবুজ্জামান। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবেদনটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়েছেন। ওই আদালত রোববার (২৩ আগস্ট) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
যশোর কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের গ্রেফতার পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে দুটি তদন্ত কমিটি। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল লাইছের নেতৃত্বাধীন কমিটি আগামী ২১, ২২ ও ২৩ আগস্টের যে কোনো একদিন এবং সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) যুগ্ম সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুল বাসিরের নেতৃত্বাধীন কমিটি ২৪, ২৫ ও ২৬ আগস্টের যে কোনো একদিন ওই পাঁচ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে আদালত অনুমতি দিয়েছেন।
কর্মকর্তারা হলেন- যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম, সাইকো সোশ্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কারাগারে।
গত ১৬ ও ১৭ আগস্ট আদালতের নির্দেশে যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি আট কিশোরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। তারা হলেন-গাইবান্ধার খালিদুর রহমান তুহিন, নাটোরের হুমাইদ হোসেন, মোহাম্মদ আলী, পাবনার ইমরান হোসেন, মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর পলাশ ওরফে শিমুল ওরফে পলান, কুড়িগ্রামের রিফাত আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার আনিছুজ্জামান। এছাড়া পাঁচ সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর বন্দিদের অমানুষিক নির্যাতন করা হলে তিন কিশোর নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। ১৪ আগস্ট তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান কেন্দ্রের তাদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ওই পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
