Bangladesh
Jessore animal market still vibrant
ভারতীয় পশু বেচাবিক্রির জন্য এই হাটটি নামকরা। গত তিন বছর ধরে ভারতীয় গরু কম আসায় খামারিদের দেশি গরুতে বাজার সয়লাব হয়ে যাচ্ছে।
গরুর ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেনাপোল থেকে রুদ্রপুর পর্যন্ত সীমান্তের ইছামতি নদীর অংশটুকু বাদে বেশিরভাগ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ নজরদারির ফলে সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে আসা কঠিন।
অবৈধপথে গরু আনার পর শার্শা উপজেলার বেনাপোলের পুটখালী, অগ্রভূলোট, দৌলতপুর ও গোগার চার খাটালে গরুগুলো রাখা হয়, যেগুলো থেকে ভ্যাট আদায় করে ‘নাভারন পশুশুল্ক করিডোর’।
এই করিডোর দিয়ে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই পর্যন্ত) ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা পশুর সংখ্যা সাত হাজার ৫২৬টি, যেখানে গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৬৭৮টি।
গরু আনতে কোনো বাংলাদেশি রাখালকে ভারতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সোহেল আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি গরুর রাখালরা যাতে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে না যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করা হচ্ছে।’
তবে ভারতীয় গরু ছাগল না এলেও কোরবানির পশুহাটে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে যশোরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভবতোষ কান্তি সরকার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২৭ হাজার গরু ও ২০ হাজার ছাগলের চাহিদার বিপরীতে যশোরের প্রায় ১১ হাজার খামারে কোরবানির জন্য ৩৬ হাজার গরু ও ৩২ হাজার ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
