Bangladesh

He is claiming Khadeja to be his daughter

He is claiming Khadeja to be his daughter

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Jan 2019, 08:13 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ২৬: মা-বাবার খোঁজে বাংলাদেশে আসা সুইজারল্যান্ডের নারী খোদেজা রওফিকে নিজের মেয়ে দাবি করে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন কুড়িগ্রামের রফিতন বেওয়া (৬৫)।

ঘটনার অনেক অমিল থাকলেও তার দাবি প্রায় ২৮/৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া তার নাড়ি ছেঁড়া ধন শাহেরাই বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের রওফি।


তবে রওফির দাবি- প্রায় সাড়ে ৩ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়ার সময় তার নাম ছিল খোদেজা। হারিয়ে যাওয়ার পর চিলমারী ছিন্নমুকুলে (বেসরকারি সাহায্য সংস্থ্যা) তার আশ্রয় মেলে। এখানে চার বছর থাকবার পর ১৯৭৮ সালের দিকে সুইজারল্যান্ডের এক দম্পতি তাকে দত্তক নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে বেড়ে ওঠেন তিনি।


সম্প্রতি নাড়ির টানে জন্মভূমি বাংলাদেশে এসেছিলেন হারিয়ে যাওয়া বাবা-মা বা বংশধরদের খোঁজে। সপ্তাহ খানেক বিভিন্ন জায়গায় চষে বেড়িয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে শূন্য হাতে ফিরে যান সুইজারল্যান্ডে বর্তমানে পালিত বাবা-মায়ের কাছে। তার ফিরে যাওয়ার তিনদিন পর শুক্রবার সকালে তাকে নিজের মেয়ে দাবি করে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন চত্বরে ঘুরছেন সন্তান হারানো মা রফিতন। তিনি রওফির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।


রফিতন বেওয়া জানান, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের অর্জুন গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তার স্বামীর নাম ছাত্তার আলী। ২২ বছর আগে স্বামী মারা যান। স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন তিনি। তার সংসারে দুটি মেয়ে এবং একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় সন্তান শাহেরা ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের সময় হারিয়ে যায়। এরপর অনেক খুঁজেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। সুজারল্যান্ডের অধিবাসী রওফি আসার সময় তিনি ছোট মেয়ের বাড়িতে অবস্থান করায় তার সঙ্গে দেখা হয়নি। পরে ফেসবুকে ঘটনা জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা তাকে খবর দেন। শুক্রবার সকালে অনেক আশা নিয়ে ছেলে রফিকুলসহ তিনি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসেন। কিন্তু সেখানে কেউ নেই।


রফিতন বেওয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোর বেটি কই? এক নজর তাক মুই দেখিম। তোমরা একনা ব্যবস্থা করি দেও।’ রফিতন বেওয়ার ছেলে থেথরাই বাজারে ঝালবুটের দোকানদার রফিকুল জানান, হারিয়ে যাওয়া শাহেরা ছিল সবার বড় বোন। সে কয়েক মাস স্কুলেও পড়েছিল। তার বাবা ছাত্তার আলী ছিলেন ধবধবে ফর্সা লোক। তার মাও ফর্সা।

তারা প্রথমে দলদলিয়ার অর্জুন গ্রামে থাকলেও তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে সেই বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। এর ছয় বছর পরে (২০১৩ সালে) তারা থেথরাই শেখের খামার গ্রামে ওয়াপদা বাঁধে আশ্রয় নেন। এখন মাকে নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন তারা।