Bangladesh
G-7 Summit: PM Hasina urges to put pressure on Myanmar over Rohingya issue
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে কানাডায় জি-সেভেন আউটরিচ বৈঠকের মূল অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের এই আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে, জি সেভেন এর আউটরিচ বৈঠকে অংশ নিতে বিশ্বনেতাদের সাথে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবারের সম্মেলনের আয়োজক সরকার প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বিশ্বের অর্থনৈতিক ও শিল্পোন্নত সাত পরাশক্তির সংগঠন জি-সেভেন এর সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বের সম্ভাবনাময় ১৫ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এরপর আউটরিচ বৈঠকের মূল অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিশ্ব নেতাদের সামনে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এই পরিস্থিতির সমাধানে চার দফা প্রস্তাব তুলে ধরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতকদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশের চেষ্টার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কোনো সংঘাত চায় না বরং রোহিঙ্গা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মুখে গত বছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
পরে, জি-সেভেন এর আউটরিচ বৈঠকের নেতৃবৃন্দের সাথে আনুষ্ঠানিক আলোকচিত্রে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গারা তাদের আবাসভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে।
