Bangladesh
Flood situation worsens in parts of Bangladesh
এতে বাড়ছে বানভাসী মানুষের সংখ্যা। নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় লোকজন উঁচু বাড়ি, বাঁধ বা রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছে। পানিতে নলকূপ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। এছাড়াও টয়লেট ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পানিবন্দি লোকজন। একবেলা রান্না করে সারাদিন তা দিয়েই দিন কাটাচ্ছে অনেকেই। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় প্রায় শতাধিক প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলায় ৭৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫২টি ইউনিয়নের ২৬২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ৫৩ হাজার ৫৫১টি পরিবারের ২ লাখ ১৪ হাজার ১০৪ জন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বন্যায় ২৮৫টি স্কুলে বন্ধ হয়ে গেছে পাঠদান। এছাড়াও ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, রোববার দুপুর পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্রের পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তার পানি ২ সেন্টিমিটার করে গিয়ে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চর, দ্বীপচর, নদী সংলগ্ন গ্রামের সবগুলোই এখন পানিতে ভাসছে। জেলায় ৭৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ হাজার ৮০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে প্রধান সড়ক জলমগ্ন হওয়ায় কুড়িগ্রাম ও ঘোগাদহ থেকে যাত্রাপুর যানচলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। সদরের হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব বাঁধ যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। এতে এই এলাকার কয়েকশ পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়বে।
রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা ও রামহরি মৌজার নদী তীরবর্তী এলাকা এখন পানিবন্দি। হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। কুড়িগ্রামে বন্যায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আমনের বীজতলা, আউস, সবজি, কলা ভুট্টা ও পাট। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকার ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলায় এক হাজার ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ওঠায় রোববার পর্যন্ত ৯২টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
