Bangladesh
Ershad to exit politics?
শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে নিজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার জালালীকে দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে খবর পাঠালেন, জাপার কোনও নেতাকে না জানিয়ে তার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে যেতে। আধঘণ্টার নোটিশে সংবাদ সম্মেলনে ভাঙা শরীরে সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবি চাপিয়ে অস্পষ্ট শব্দে এরশাদ জানালেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার ভাইকে তিনি ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’ হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
এরশাদের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তের পর জাপাসহ রাজনৈতিক দলগুলোয় আলোচনা শুরু হয়, তাহলে কি এরশাদ অবসরে যাচ্ছেন? ঠিক কী কারণে মধ্যরাতে সাংবাদিকদের ডেকে এনে জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করতে হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিস্ময় প্রকাশ করেন এরশাদের ছোট ভাই। বললেন, ‘বিষয়টি তার কাছেও অভিনব ঠেকেছে। তিনি বুঝতে পারছেন না হঠাৎ করে তার ভাই কেন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।’ তবে পদ ফিরে পেয়ে আন›িন্দত জিএম কাদের।
যদিও এ বছরের জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করে স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক নির্দেশ জারি করেছিলেন এরশাদ। এরপর ২২ মার্চ জিএম কাদেরকে ‘কিছু বুঝতে না’ দিয়ে এরশাদ জানান, তাকে পার্টিও কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হলো। পরদিন আবারও জানানো হলো, ছোট ভাইকে তিনি সংসদের উপনেতার পদ থেকেও বাদ দিয়েছেন।
জিএম কাদের ওই সময় বলেছিলেন, ‘কিছুই বুঝতে পারছি না, কারা করলো, কেন করলো।’ দেবরকে সব পদ থেকে ছুড়ে ফেলায় জোয়ার তৈরি হয় রওশন এরশাদপন্থী নেতাদের মধ্যে। খুশির জোয়ারে ভেসেছেন তারা। এই নেতারাই এরশাদের শনিবারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। বলছেন, এরশাদ জীবিত এবং বিরোধীদলীয় নেতার পদে আছেন। এ অবস্থায় একই ঘটনা দু’বার ঘটলো। সেক্ষেত্রে সতর্ক হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। চট করে কিছু বলা হলে পুরো বিষয়টা ঘোলাটে হওয়ার শঙ্কা থাকায় সময়ের প্রয়োজন বলে মনে করছেন একাধিক নেতা।
