Bangladesh
Dhaka still reeling under floods
এদিকে বন্যার পানি ঢুকে গেছে বাড্ডা-রামপুরা পর্যন্ত। গত এক সপ্তাহ ধওে রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাপাড়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে বন্যার পানি। কোনাপাড়া বাজারেরও বিভিন্ন দোকানপাট, বাড়ি ও ভবনে বন্যার পানি ঢুকে গেছে। কোনাপাড়ার নতুন ঢালাই করা রাস্তা দিয়ে অল্প সামনে ওই এলাকার সব ভবন, দোকানপাট ও বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অনেকে যাতায়াত করছেন নৌকায়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘কেবল কোনাপাড়া নয়, ঢাকার পূর্ব দিকে ডেমরা, জুরাইন, মাদারটেক, খিলগাঁও, বাড্ডা, সাঁতারকুল এসব অঞ্চলের নিচু এলাকায় পানি উঠেছে। এগুলোতে মূলত বালু নদী ও শীতলক্ষ্যার পানি প্রবেশ করেছে।’
রাজধানীর ডেমরা এলাকার বাসিন্দারা জানান, ১৯৯৮ সালের পর ঢাকায় এমন বন্যা হয়নি। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। কোনো কোনো এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে, ১০ দিনের বেশি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সপ্তাহখানেক হলো বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার অনেক জায়গায় বাড়িঘরে পানি প্রবেশ না করলেও আশপাশে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
এই বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের ভাড়া করা কাঁচা কিংবা আধা-কাঁচা ঘরগুলোই বেশি তলিয়েছে বন্যার পানিতে। বন্যায় ভোগান্তির শিকার এসব মানুষের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এমনকি তাদের খোঁজ-খবরও নেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিনই বন্যার পানি বাড়ছে। এমনকি বুধবারও (২৯ জুলাই) বন্যার পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের এমন দাবির সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়ার বক্তব্যের মিল নেই। তিনি বলেন, ‘এখন যে অবস্থায় আছে ঢাকার বন্যা, এর চেয়ে বেশি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। এ সপ্তাহটা থাকবে বন্যা পরিস্থিতি। তারপর আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে।’
