Bangladesh
COVID-19 makes Chittagong polls doubtful
করোনাভাইরাসের কারণে কখন কীভাবে নির্বাচন করবে তা এখনও চূড়ান্ত করেনি ইসি। শূন্য হয়ে যাওয়া সংসদীয় আসনগুলো ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হলেও চসিক নিয়ে কত দেরি জানা নেই কারও।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের দিনক্ষণ শেষ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের পাশাপাশি বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু পরে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন করে ইসি। কিন্তু চসিক আটকে আছে। করোনাভাইরাসের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধসের আশংকা।
এর আগে নির্বাচন কমিশন জানায়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় এবং পাহাড় ধসের কারণে ৫ আগস্টের মধ্যে সেখানে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এ সংক্রান্ত ইসির পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘বর্তমানে করোনার প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং অতিবৃষ্টি ও পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা বিবেচনায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন’।
জানা যায়, চসিকের মেয়াদ শেষ সংক্রান্ত ইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিগগিরই সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। মেয়াদ শেষে বর্তমান মেয়রের বদলে একজন প্রশাসক নিয়োগ করবে সরকার। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সরকার চাইলে বর্তমান মেয়রকে দায়িত্ব দিতে পারেন।
নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হলে বর্তমান মেয়র-কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয় সরকার আইনে। সিটি কর্পোরেশন আইন- ২০০৯ এর ২৫ (১)-এ উল্লেখ রয়েছে ‘নতুন সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হলে অথবা কোনো সিটি কর্পোরেশন বিভক্ত করা হলে অথবা কোনো সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদোত্তীর্ণ হলে সরকার সিটি কর্পোরেশন গঠিত না হওয়া পর্যপ্ত তার কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দশ্যে একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করতে পারবেন।
এ বিধানবলে মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অথবা সরকার চাইলে বর্তমান মেয়রকে স্বপদে নিয়োগ দিতে পারেন। এতে কোনো আইনি জটিলতা নেই।
