Bangladesh

China wants experimentation with COVID-19 in Bangladesh, Dhaka silent
Amirul Momenin

China wants experimentation with COVID-19 in Bangladesh, Dhaka silent

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Jul 2020, 05:29 am
ঢাকা, জুলাই ১ : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফল হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেটি বাংলাদেশকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে চীন। তবে এই আবিষ্কারে সফল হতে বাংলাদেশকে পরীক্ষাগার হিসেবে চায় বেইজিং। এখন এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশের অনুমতির অপেক্ষায় তারা। তবে ঢাকা এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নীরব।

পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চীন ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ করেছে।

 

চলছে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার প্রস্তুতি।

 

আর বড় আকারে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমোদন পেয়েছে চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)।

 

পাশাপাশি বাংলাদেশেও এ পরীক্ষা চালাতে চায় দেশটি।

 

এ বিষয়ে নানা মাধ্যমে আলোচনাও চালাচ্ছে।


সূত্র জানায়, চীনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত রোগী কমে যাওয়ায় এখন দেশের বাইরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য জায়গা খুঁজছে চীন। বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকায় বাংলাদেশকে এর উপযুক্ত মনে করছে। ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতে চীনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।


বাংলাদেশের অনেক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বিদেশে ওষুধ রফতানি করে থাকে। চীন বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের পরীক্ষায় উতরে গেলে এদেশের এসব কোম্পানি এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি পেতে পারে। তখন বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই করোনার ভ্যাকসিনে বাংলাদেশের জনগণের অ্যাকসেসও বাড়বে।


জানা যায়, সবার আগে চীনের যে প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে সেই প্রতিষ্ঠানের মতোই বাংলাদেশেও ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ফার্মের সাথে তাদের চুক্তি করতে হবে। হয়তো তারা বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করছে। এরপর সরকারের কাছে অনুমতি চাইবে।


চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফ্রাম) অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সম্ভাব্য দু’টি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো ইতোমধ্যে চীনে দুই হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে।


চীনের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক অন্যান্য সংস্থার মধ্যে ক্লোভার বায়োফার্মাসিউটিক্যাল দেশের বাইরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে। ইতোমধ্যে তা অস্ট্রেলিয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এর বাইরে সিনোভ্যাক বায়োটেক শিগগিরই ব্রাজিলে ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করবে।