Bangladesh
China to play 'constructive role' in solving Rohingya trouble
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রীর সাথে প্রথম বৈঠকে তারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের উপায়সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানান লি জিমিং। গত ২২ আগস্ট সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য বাংলাদেশের মিয়ানমারের পাশাপাশি চীনের প্রতিনিধিরাও কক্সবাজারে উপস্থিত ছিলেন।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থতার পর মিয়ানমারের সাথে আলোচনার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এবারের প্রস্তাবেও দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে থাকার কথা জানিয়েছে দেশটি।
প্রত্যাবাসন না হওয়ার এক সপ্তাহের মাথায় বুধবার (২৮ আগস্ট) নোট ভারবালের মাধ্যমে নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে চীন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের আবারও আলোচনা শুরু করার এই প্রস্তাবে চীনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকের আয়োজক হতে চায় চীন। বাংলাদেশ রাজি থাকলে এই বৈঠক আয়োজন করা হবে।
নোট ভারবালে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরেও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়া ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছে চীন। তারা আরও জানায়, চীন বরাবরই প্রত্যাবাসনের পক্ষে। বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনায় যুক্ত রয়েছে তারা।
এদিকে বুধবারেই ঢাকায় চীনের নতুন রাষ্ট্রদুত রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজেদের দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে চীনের অব্যাহত সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
