Bangladesh
BGB bolster security to prevent cross border leather smuggling
এ বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ থেকে ৪০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে দাম ২৮ থেকে ৩২ টাকা। অপরদিকে ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ -১৫ টাকা প্রতি বর্গফুট। গত বছর চামড়ার দাম আরও বেশি ছিল। ভারতে চামড়ার দাম বরাবরই বেশি। সেই কারণে সীমান্ত পথে চামড়া পাচারের প্রবণতা রয়েছে। এবার ঈদে চামড়ার দাম নেই বললেই চলে। এক একটি চামড়া ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকে সড়কে ফেলে চলে গেছে। এই সুযোগে একটি মহল চামড়া সংগ্রহ করে লবণ দিয়ে মজুত করে রেখেছেন। সময় সুযোগ পেলে তা ভারতে পাচার করবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বেনাপোল ও শার্শার পুটখালী, গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, দৌলতপুর, গাতিপাড়া, ঘিবা, সাদিপুর, বড় আঁচড়া, কাশিপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। খুচরা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে আরও কম দামে চামড়া কিনে মজুত করেছেন। স্থানীয় বাজারে চামড়া না তুলে নিজস্ব কায়দায় তা সংরক্ষণ করেছেন তারা। দেশের বাজারে দাম কম হওয়ায় এই চামড়া বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের পশুর চামড়ার গুণগত মান উন্নত। প্রতিবেশী দেশের পশুর চামড়া তুলনামূলক নিম্নমানের হওয়ায় এদেশের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ভারতে। চোরাকারবারিরা প্রতিবেশী দেশে চামড়া পাচার করে ওই অর্থ দিয়ে ভারত থেকে অন্যান্য মালামাল কিনে আনার চেষ্টায় থাকেন। কোরবানি ঈদের সময় পশুর চামড়ার দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করা হলে পাচারের প্রবণতা কমে। পাশাপাশি স্বস্তিতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
