Bangladesh

Beirut blast: Bangladeshi flight carrying food and medical supplies leaves for Lebanon
বিষ্ফোরণে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বৈরুত।

Beirut blast: Bangladeshi flight carrying food and medical supplies leaves for Lebanon

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Aug 2020, 12:10 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ আগস্ট ২০২০ : বৈরুতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে চিকিৎসা ও জরুরী খাদ্য সামগ্রী এবং খুচরা যন্ত্রাংশ নিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান রোববার লেবাননের রাজধানীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। গত ৪ আগস্ট বৈরুতে ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা প্রেরণের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মালামাল নিয়ে এই বিমান সেখানে গেল। পরিবহন বিমানটি ২ টন চিকিৎসা ও ৮ টন জরুরী খাদ্য সামগ্রী এবং ২ টন খুচরা যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২ সদস্যের এয়ার ক্রুর সমন্বয়ে গঠিত এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শান্তনু চৌধুরী। এই মিশন সম্পন্ন করতে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। মিডিয়া ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ আবুল বাশার।
সূত্র জানায়, বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের যেকোন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বদা বিমান পরিবহন সেবা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৈরুতে দুর্ঘটনাকবলিত প্রবাসী বাংলাদেশী, স্থানীয় জনগণ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের সহায়তা প্রদানের জন্য জরুরী চিকিৎসা সামগ্রীসহ একজন চিকিৎসক এবং নৌবাহিনী জাহাজের বান্তব অবস্থা নিরুপনে রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি কারিগরী মুল্যায়নকারী দল বিমান বাহিনীর এই সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে লেবাননে পাঠানো হয়। ফিরতি পথে বিমানটি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনবে। পরিবহন বিমানটি আগামী ১২ আগস্ট দেশে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ভ্রাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।