Bangladesh

Bangladesh conducts study to increase water holding capacity of rivers to avoid flooding
প্রতিবছর পদ্মায় বিলীন হচ্ছে শত শত বাড়ি-ঘর, জমছে পলি (ফাইল ছবি)।

Bangladesh conducts study to increase water holding capacity of rivers to avoid flooding

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Aug 2020, 11:58 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১১ আগস্ট ২০২০ : এবার বৃষ্টিপাত অতীতের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ায় বন্যাও বেশি। তাই এবারের বন্যাকে ভিত্তি ধরে উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে।

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ কথা জানিয়ে বলেন, উজানে অর্থাৎ নেপাল, ভূটান, ভারত ও চীনে যখন বৃষ্টি হয় তখন সেই পানি আমাদের দেশ হয়ে বঙ্গোপসাগওে গিয়ে পড়ে। সেখান বৃষ্টিপাত, পানির পরিমাণ ও আমাদের দেশের বৃষ্টিপাতের পরিমাণের থেকে আরো ৫ শতাংশ বেশি ধরে দেশের নদ-নদী ও খালের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ড্রেজিং করা হবে। এ লক্ষ্যে সমীক্ষা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ আগস্ট) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রমুখ।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, এবার কিন্তু বৃষ্টিপাত অতীতের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। বৃষ্টির পরিমাণ কি পরিমাণ পানি উজান থেকে আমাদের দেশে আসে এবং আমাদের এখানে কি পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেটার সঙ্গে আমরা আরো ৫ শতাংশ বেশি ধরে সমীক্ষা চালাতে ইতোমধ্যে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই পানিটা ধারণ করতে কয়টা নদী এবং কত দৈর্ঘ্য ও কত গভীরতায় আমাদের ড্রেজিং করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্যই এই সমীক্ষা। এর পর সরকারের কাছ থেকে  প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলেই হাজ মুরু হবে।
তিনি বলেন, বন্যার পানি আমাদের এখানে প্রতিবছরই আসতে থাকবে, এটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। কারণ আমরা ভাটির দেশের লোক। আমরা যেটা করতে পারি যে পরিমাণ পানি আসে সে পরিমাণ পানি কিভাবে ধারণ করা যায় তার উপায় উদ্ভাবন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ডেলটা প্ল্যান ২০২১ করার কথা বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে ৬৪ জেলায় ৪৪৮টি খাল খননের একটি প্রকল্প আমরা নিয়েছি। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে। যদি এই খাল খনন না হতো তাহলে এই বন্যার পরিমাণ আরো ব্যাপক হতো, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়তো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই প্রকল্পটি জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল আমরা শেষ করতে পারি নাই। কারণ বিভিন্ন স্থানে খাল দখল, অবৈধ স্থাপনা ছিল এদের উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকরা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য এই প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে।