Bangladesh

Bangladesh: Awami League gaining more popularity

Bangladesh: Awami League gaining more popularity

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Jul 2018, 08:34 am
ঢাকা, জুলাই ৯ঃ বাংলাদেশের মাটিতে ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ সময় ধরে দেখা গেছে যে প্রতি পাঁচ বছর পর পর মানুষ ক্ষমতাসীন দলকে ভোটের শক্তির কাছে কুপোকাত করে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেন।

এই দেশের মানুষ সেই দলের উন্নয়নের কথাও ভাবেনা। যত উন্নতি করুক না কেন, পাঁচ বছর কেটে যাওয়া মানেই সরিয়ে দেওয়া হবে ক্ষমতাসীন দলকে।

 

তবে, গত কিছু বছরে দেশের রাজনৈতিক আঙ্গিনায় এসেছে পরিবর্তন।

 

গত দশ দশকে চিত্রতা ভিন্ন হয়েছে।

 

গত কিছু বছরে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওনার সরকারের, বা ওনার আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

 

এই ছবিটি পরিষ্কারভাবে নিজের লেখায় মেলে ধরেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহ আলী ফরহাদ।

 

ঢাকা ত্রিবুনে উনি লিখেছেনঃ " প্রথমত, গত দুই বছরের নির্ভরযোগ্য সমস্ত জরিপে প্রমাণ পাওয়া যায় যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং জননেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা তাদের প্রধান বিরোধী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর নেতা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের থেকে অনেক বেশি। একই জরিপে দেখা গেছে ক্রমবর্ধমানভাবে মানুষ মতামত দিয়েছে, এই সরকারের আমলে দেশ উন্নয়নের সঠিক ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।"

 

উনি বিভিন্ন জরিপের বিষয় নিজের লেখায় তুলে ধরে দেখিয়েছেন যে কিভাবে আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

 

"সাধারণ জনগণের মধ্যে এই দলটি সম্পর্কে নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক ধারণা ক্রমশ বর্ধমান যার প্রমাণ এই বিজ্ঞানসম্মত গবেষণাগুলো। ২০১৭ সালে আইআরআই’র ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন’ (এফজিডি) পদ্ধতিতে করা গবেষণা ২০১৮ এপ্রিলে প্রকাশ পেলে তা থেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে খুব চিত্তাকর্ষক কিছু বিষয় উঠে এসেছে," উনি লিখেছেন।

 

"এই এফজিডি রিপোর্ট বলছে, অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীই স্বাধীনতা আন্দোলনে ও বর্তমান উন্নয়নকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য ও প্রশংসা করেছেন। এই আলোচনা থেকে বলা হয়েছে বর্তমান সরকারী দল, আওয়ামী লীগ সাম্প্রতিক এ উন্নয়নে অবদান রাখা ও তাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তার কারণেই শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থানে থেকে ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে," উনি বলেছেন।

 

বিএনপি যে ইদানীংকালে জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে যাচ্ছে তা উঠে এসেছে লেখায়।

 

"অপরপক্ষে, বিএনপি, এর চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং জামাত-এ-ইসলাম সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো নেতিবাচক। এর কারণ এই দু’টি দলের “সহিংসতা, একগুঁয়েমি এবং ধর্মীয় মৌলবাদের প্রতি সমর্থন।” প্রত্যাখ্যানের কারণ হিসেবে আলোচনায় আলোকপাত করা হয়েছে তারেক রহমানের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির উপর," পত্রিকার জন্য এই লেখায় উনি লিখেছেন।

 

"এটা সহজেই ধারণা করা যায় যে, আদালতে খালেদা জিয়ার বিপক্ষে রায়ের ফলে ও তারেক রহমানকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান করার কারণে এই গ্রহণযোগ্যতা আরও তলানীতে চলে গেছে। যার আলামত পাওয়া গেছে গত দুই মেয়র নির্বাচনের ফলাফলে আওয়ামী লীগের একপেশে জয়ে। আর অদূর ভবিতব্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা শেখ হাসিনা ও জনপ্রিয়তাহীন তারেক রহমানের মধ্যে নিজের পছন্দকে বেছে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না জনসাধারণের," উনি বলেন।