Bangladesh
21,000 Awami League workers killed during BNP rule: Obaidul Quader
ওবায়দুল কাদের সোমবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন। ১৭ আগষ্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা কোনো খুনিকে ইনডেমনিটি আইন করে বাঁচাননি। খুনিকে জায়েজ করেননি। যাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নল, তারা এখন গুম-খুনের কথা বলে। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল। তারা তখন ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা করে। আজ তারা বলে দেশে বিচার নেই, বিচারতো দূরের কথা, ২১ বছর আমরা বিচার চাইতেই পারিনি।
তিনি বলেন, ২১ আগষ্ট মামলার বিচার ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তারা জজ মিয়ার নাটক সাজিয়েছিল। এদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি বিএনপিই করে। তারা অপারেশন ক্লিন হার্ট পরিচালনা করেছে। ২০০২ সালের ১৬ অক্টোবর হতে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৯৭ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
কাদের কলেন, ২০০৫ সালের এই দিনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) সারাদেশে একযোগে দেশের ৬৩ জেলায় ৫শ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় ২জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা আর কোনো ১৫ আগষ্ট, ২১ আগষ্ট ও ১৭ আগষ্টের মতো ঘটনা দেখতে চাই না। চাইনা রমনার বটমূলের মতো নৃশংস হত্যাকান্ড। পচাত্তরের ১৫ আগষ্টের মতো নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড পৃথিবীর কোনো দেশে হয়নি। বিদেশে থাকার কারণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাদের বলেন, খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমান এবং অশুভ চক্র পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে বিচার বন্ধের বিধান যুক্ত করে লাখ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত সংবিধানকে কলঙ্কিত করেন।
