World
Hong Kong witnesses another day of protest
বিবিসি নিজেদের রিপোর্টে জানিয়েছেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ছবিতে দেখা গেছে ট্রেনযাত্রীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করছে।
‘উগ্র প্রতিবাদকারীরা’ নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে এমন খবর পাওয়ার পরেই স্থানগুলিতে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হংকংয়ে পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থায় চীন সরকারের নিষেধাজ্ঞার ৫ বছর পূর্তিতে বিক্ষোভকারীরা আজ এই শহরের বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হয়েছিলেন।
তারা আগুন জ্বালানো ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে পেট্রোল বোমা ছোড়ার পাশাপাশি পার্লামেন্ট ভবনেও আক্রমণ চালায় বলে এমনটাই অভিযোগ করেছে পুলিশ।
কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও তাজা গুলি বিক্ষোভকারীদের সরানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে জনিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কেন এই বিক্ষোভ?
হং কং আসলে হল আধা স্বায়ত্তশাসিত চীনা শহর। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চীনাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছিল এই জমকালো শহরটি।
কিন্তু সেই শহরে এখন সরকার বিরোধী প্রতিবাদ প্রায় রোজ চলছে। চিনের প্রস্তাবিত বন্দি সমর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে চলছে এই বিক্ষোভ। আর এর ফলে শহর প্রায় অচল হয়ে পড়ছে।
প্রসঙ্গত, বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে একটি বহিঃসমর্পণ বিল পাসের উদ্যোগ নিয়েছিল এই শহর হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ।
তবে, মানুষের এই বিলের প্রতি আস্থা নেই।
বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো নিরাপদ বলে মনে করেন না এই শহরের বাসিন্দারা।
তারা মনে করেন এই বিল পাস হয়ে গেলে শহরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়াবে।
বাংলাদেশের বি ডি নিউজ ২৪ একটি প্রতিবেদনে বলেছে যে চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই অর্থনীতির গতি ধরে রাখাত হিমশিম খাচ্ছিল বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হংকং। কিন্তু টানা তিন মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে আধা স্বায়ত্তশাসিত এই চীনা শহর এখন পৌঁছে গেছে মন্দার প্রান্তে।
