Sports

West Indies win series, Bangladesh batting in bad state

West Indies win series, Bangladesh batting in bad state

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 15 Jul 2018, 08:53 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুলাই ১৫ : জ্যামাইকা টেস্টে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 দুই ম্যাচের সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০তে। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল দুই দিন ও এক সেশনে।

 

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে ক্যারিবিয়ানরা নিশ্চিত করেছে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের আটে ওঠা। বাংলাদেশ নেমে যাচ্ছে নয়ে।

 

বাংলাদেশের হয়ে এদিন লড়লেন কেবল সাকিব আল হাসান।

 

বল হাতে রেকর্ড গড়া পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিংয়েও লড়িয়ে ফিফটি। কিন্তু বিবর্ণ দলের বাকিরা।

 

প্রতিপক্ষ অধিনায়কের বোলিংয়ের কোনো জবাব পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার।

 

টেস্টে তার সেরা বোলিং।

 

ম্যাচে নিয়েছেন ১০৩ রানে ১১ উইকেট।

 

প্রথমবার স্বাদ পেলেন ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার।

 

দেশের মাঠে কোনো ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডও এটি।

 

অথচ দিনের প্রথম ভাগ ছিল বাংলাদেশেরই। ১ উইকেটে ১৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ১২৯ রানে। ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বিদেশের মাঠে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন সাকিব।


ব্যটিংয়ে ব্যর্থতার শুরু দেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে দিয়েই।

 

প্রথম ইনিংসে শেষ দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় ছিলেন জেসন হোল্ডার। তামিম তাকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেছেন।

 

কিন্তু উইকেট বঞ্চিত রাখতে পারেননি। রাউন্ড দা উইকেটে করা হোল্ডারের ডেলিভারি কাট করে ভেতরে ঢুকে লাগে প্যাডে।

 

রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম। টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টমবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে।

 

আরেক পাশে লিটন দাস শুরুতে ছিলেন নড়বড়ে। হঠাৎ করেই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। হোল্ডারের এক ওভারে মারেন চারটি চার। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের পরের ওভারেই শর্ট বলে চার মারেন ফ্রন্ট ফুট পুলে। কিন্তু সেসব ছিল কেবলই ক্ষনিকের ঝলক, পারেননি ছুঁতে কোনো মাইলফলক। ৩৩ বলে ৩৩ করে গালিতে ক্যাচ দিলেন শরীর থেকে দূরে আলগা শট খেলে।

 


নড়বড়ে শুরুর পর ততক্ষণে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন মুমিনুল। সিরিজে আগের ৩ ইনিংসে ১ রান করা ব্যাটসম্যান মারলেন দারুণ তিনটি বাউন্ডারি। অফ স্পিনার রোস্টন চেইসের সোজা বলে এলবিডব্লিউ ১৫ রানেই। মাহমুদউল্লাহ  ক্যাচ দিলেন শর্ট মিড উইকেটে। মুশফিক জুটি গড়ে তোলেন সাকিবের সঙ্গে।

 

ঝুঁকি পূর্ণ শট যদিও কিছু খেলেছেন, পাশাপাশি খেলেছেন কয়েকটি ভালো শটও।


সাকিব যেন ব্যাট করছিলেন অন্য উইকেটে। সতীর্থদের কাঁপাকাঁপির মাঝে অধিনায়ক ছিলেন অটল। ব্যাটিংয়ে ছিল না খুব একটা অস্বস্তির রেশ।

 

ডিফেন্স ছিল দারুণ পোক্ত। শট খেলায় বল নির্বাচন ছিল দেখার মতো।

 

গ্যাব্রিয়েলের এক ওভারে অন ড্রাইভ, অফ ড্রাইভ আর কাট করে মারেন তিনটি বাউন্ডারি।