Sports
Bangladesh register first T20 victory against India in New Delhi
দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে একদম শেষ ওভারে গিয়ে। অভিষিক্ত নাইম শেখ ২৬ ও আরেক বাঁহাতি সৌম্য সরকারের ৩৯ রানের ওপর দাঁড় করানো ভিতে, দালানের শেষ ইটটা বসান মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ভায়রার অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে ম্যাচের ৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
অভিষিক্ত শিভাম দুবের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে অসাধারণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জেতান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টি-২০ ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম ফিফটিতে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৬০ রান করে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান। এ জয়ের ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো
টাইগারদের ইনিংসে বারবার ঘুরেছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। কখনও মনে হয়েছে এগিয়ে বাংলাদেশ, ঠিক তখনই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। চেপে ধরেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের।
তবে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছেন নাইম ও সৌম্য। আর শেষদিকে দুর্দান্ত ফিনিশ করেছেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। অথচ ইনিংসের প্রথম বলে দারুণ কভার ড্রাইভে দুই আর পরের বলে কবজির আলতো টোকায় মিডউইকেট দিয়ে চার- বাংলাদেশের শুরুটা এমন দুর্দান্তই করেছিলেন লিটন। কিন্তু সে ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন অভিষিক্ত নাইম শেখ এবং ড্যাশিং সৌম্য সরকার। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে'তে ৪৫ রান পায় বাংলাদেশ। রানরেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে ৭ ওভারে ৫৩ রান জমা হয় স্কোরবোর্ডে। কিন্তু অষ্টম ওভারে লেগস্পিনার ইয়ুজভেন্দ্র চাহাল আক্রমণে আসতেই বদলে যায় দৃশ্যপট। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন নাইমকে। পরপর তিন বল ডট খেলায় আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি তরুণ নাইম। ফলে হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলার চেষ্টায় আউট হন ২৮ বলে ২৬ রান করে। নিজের অভিষেক ইনিংসটি তিনি সাজান ২ চার ও ১ ছয়ের মারে।
