Sports
Bangladesh reach final by beating West Indies
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপ ৩৮১ রান করে ফেলে কিংবা ৩৩৮ রানও তাড়া করে জিতে যায়, সেই ব্যাটিং লাইনআপকে বাংলাদেশ বেধে রাখে মাত্র ২৪৭ রানে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা এর চেয়ে আর বেশি সহজ হওয়ার কথাও নয়। সেই সহজ কাজটাকেই শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছেন ব্যাটসম্যানরা।
জয়ের জন ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ম্যাচের মতই দেখে-শুনে, ধীরে-সুস্থে ইনিংসের সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। তবে প্রথম ম্যাচের মত এত বড় জুটি গড়তে পারেননি তারা।
দু’জনের ব্যাটে ৫৪ রান ওঠার পরই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। অ্যাসলে নার্সেও একটি ঘূর্ণি বল ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে মিস করে ফেলেন তামিম। ফলে বোল্ড হয়ে যেতে হয় তাকে। ২৩ বলে ২১ রান করে ফিরে যান তিনি। তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান সৌম্য সরকারকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন। ৫২ রানর জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান সাকিবও। অ্যাসলে নার্সেরই আরেকটি বল খেলতে গিয়ে শর্ট কভারে ক্যাচ দেন রোস্টন চেজের হাতে। ৩৫ বলে ২৯ রান করে আউট হন সাকিব।
তবে সৌম্য সরকার তার নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করে যান। তামিমের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটির পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি। ৬৭ বলে ৫৪ রান করে অবশেষে সেই নার্সের বলেই বুনিল আমব্রিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য।
সৌম্য আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহীম আর মোহাম্মদ মিঠুন মিলে গড়ে তোলেন ৮৩ রানের দারুণ এক জুটি। আগের ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি মিঠুন। এই ম্যাচে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন। ৫৩ বলে খেললেন ৪৩ রানের কার্যকরি এক ইনিংস।
১৯০ রানের মাথায় মিঠুন আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহীম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে গড়েন আরও একটি ৫০ রানের জুটি। এই জুটিতেই মূলতঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাত থেকে ম্যাচ বের করে আনে বাংলাদেশ। জয় থেকে মাত্র ৮ রান দুরে থাকতে ব্যক্তিগত ৬৩ রানের মাথায় আউট হয়ে যান মুশফিক। কেমার রোচের বলে ড্যারেন ব্র্যাভোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজ ঘরে ফেরেন তিনি। ৬৩ রানের ইনিংসটি তিনি সাজান ৭৩ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কা দিয়ে। শেষে জয়ের কাজটি অনায়াসে সেরে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সাব্বির রহমান। ৩৪ বলে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন রিয়াদ। সাব্বির রহমান কোনো বলই খেলার সুযোগ পাননি।
