Bangladesh
World Bank to give donation to Rohingyas
এই অনুদান গ্রহণ করে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে এতে সই করেন ব্যাংকটির বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ কিছু আর্থিক সাহায্য পেলেও এর স্থায়ী সমাধানে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ রকম প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যা স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব।
তবে সে ধরনের কোনো পদক্ষেপের কথা জানাননি বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানডান চেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার উদারতার সঙ্গে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এই সঙ্কটের কারণে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের চাহিদাও প্রচুর তৈরি হয়েছে। প্রকল্পটি এই অভিবাসন সঙ্কটকে তুলে ধরছে। বাংলাদেশ সরকারকে সার্বিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে পরিকল্পনা, সমন্বয় ও জরুরি পরিস্থিতিতে আরও সাহায্য প্রদান করা হবে।’
রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ‘১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভালোবাসা ও মানবিকতার কারণে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য আবারও সীমানা উন্মুক্ত করে দেন। মিয়ানমার থেকে বিুাড়িত ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশের ফলে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধির ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীব-বৈচিত্র্য ও স্থানীয় পরযায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের এই অর্থ সাহায্য দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর আওতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বহুমুখী ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নিমার্ণ, ২০০ কিলোমিটার রাস্তা, ২ লাখ মানুষের পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করা, দেড় হাজার সড়ক বাতির ব্যবস্থাসহ বেশকিছু কর্মকা- পরিচালিত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পের অর্থায়ন ২০২২ সালের ৫ মার্চ শেষ হবে। অনুদানের অর্থ হওয়ায় এই টাকা ফেরত দিতে হবে না।
