Bangladesh
Will not allow anyone to enter against Bangladeshis: Home Minister
আসাদুজ্জামান খান কামাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান, ভারতে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) শুরু হওয়ার পর হঠাৎ করেই দেশটি থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার সময় দুই শতাধিকেরও বেশি ব্যক্তিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে সীমান্তে পুশইন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বিজিবির সহায়তা নিয়ে স্থানীয়রা পুশইন ঠেকাতে পাহারা দিচ্ছেন। এটি আতঙ্কের বিষয় কি না?
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মোটেও আতঙ্কের বিষয় নয়। আমরা কোনোভাবেই বাংলাদেশি ছাড়া কাউকে বাংলাদেশের মাটিতে ঢুকতে দেব না। ঢুকতে দেব না মানে, আমরা তো রোঙ্গিাদের ঢুকতে দিয়েছি, সেই বিষয় নয়। আমাদের সুনিশ্চিত হতে হবে যাদের পুশইন করা হচ্ছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক কি না। যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়, তাহলে আমরা এগুলোকে রিসিভ করতে পারি। যদি তারা বাংলাদেশের নাগরিক না হয়, তাহলে তাদের কোনোক্রমেই গ্রহণ করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা হয়তো দেখেছেন, কিছু কিছু বাঙালি, এরা বাংলাদেশি কি না আমি সঠিকভাবে এখনও নিশ্চিত নই। তাদের বাংলাদেশের ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে। আমাদের বিজিবি কয়েক জায়গা থেকে এদের ঢুকতে দেয়নি। এদের সংখ্যা হাজার হাজার নয়, কয়েকশ।’
‘বিগত দিনে বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি পাঁচজন, ১০ জন কিংবা ২৫ জন, ৫০ জন করে তারা পুশইন করানোর জন্য প্রচেষ্টা করা হয়েছে। তখন রোহিঙ্গাদেরও পুশইন করার একটা প্রচেষ্টা হয়েছিল। রোহিঙ্গারা বিভিন্নভাবে ভারতের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ভারতে ঢুকে গিয়েছিল। তারা বাংলাদেশে চলে আসতে চেয়েছিল, আমরা ঢুকতে দেইনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সুনিশ্চিত না হয়ে কাউকে আমাদের মাটিতে ঢুকতে দেব না, এটা হলো আমাদের কথা। আমাদের বিজিবিও সেজন্য সচেতন আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাসপোর্ট নিয়ে অনেকেই গিয়ে থাকেন। যখন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন এদেরকে পাঠিয়ে দেয়। এরকম ঘটনা যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমরা অবশ্যই রিসিভ করব। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।’
