Bangladesh
Who is Priya Saha
বাড়ি পিরোজপুর জেলায়। এখানে দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মত কিছু কুখ্যাত লোকের বাস। তারাই বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালায়। ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে পিরোজপুরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আর কেউ সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়বার সাহস দেখায়নি। শুধু তাই নয়, ওই সব দুর্বৃত্ত্ব এখন ভয়ে ভয়ে থাকে। কারণ এই আমলে কোন সংখ্যালঘু অবিযোগ করলে তাদের ভিটেমাটি ছাড়া হতে হবে। তাই প্রশ্ন জাগে যে প্রিয়ার সংগে গত প্রায় ৩০ বছর তার বাপের বাড়ির সম্পর্ক নেই তিনি কেন অভিযোগ করলেন।
প্রিয়া বালা একটি এনজিও চালান। সম্প্রতি একটি পত্রিকার ডিক্লারেশনও নিয়েছেন। তার স্বামী দুদকের একজন কর্মকর্তা (উপ সহকারি পরিচালক)। তাদের অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে ফ্লাট রযেছে। চলেন উঁচু মহলে। বিত্ত্ববান পরিবার হিসেবে পরিচেত। স্বচ্ছলতার কারণেই প্রিয়া সমাজসেবার সংগে যুক্ত হতে পেরেছেন।
প্রিয়া বালা বিশ্বাসের বাবার নাম নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। পিরোজপুর জেলার নাজির উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের চরবানিয়া গ্রামে তার বাবার বাড়ি। বৈবাহিক সূত্রে তিনি যশোরের বাসিন্দা। তিনি বাবার বাড়ি চরবানিয়া গ্রামে বসবাস করেন না। এ গ্রামে তার নিজস্ব কোনো বাড়িঘর বা সম্পদও নেই। গ্রামে তার বাবার (নগেন্দ্র নাথের) পৈতৃক সম্পত্তি ও ভাইদের সম্পত্তি রয়েছে। আরো অনেক পরিবারের মত নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাসও কখনও দেশ ছাড়ার কথা ভাবেন নি।
ভাই যগদীশ চন্দ্র বিশ্বাস একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব)। বাড়িতে কেউ থাকেন না।
তাদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে গত ২ মার্চ রাতে আগুন লাগে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যগদীশ বিশ্বাসের কেয়ারটেকার কমলেশ বিশ্বাস নাজিরপুর থানায় ৩ মার্চ মামলা করেন।
মামলায় কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে কোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার বা কোনো মৌলবাদী গোষ্ঠী বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি। ওই এলাকায় নদীতে জেগে ওঠা চরের মালিকানা নিয়ে বহু বছর ধরে মামলা-মোকদ্দমা রয়েছে। সম্প্রতি কমলেশ বিশ্বাস চরের জমি-সংক্রান্ত একটি মারামারির ঘটনায় হিন্দু ও মুসলমানসহ এলাকার কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তাধীন বলে জানা গেছে।
