Bangladesh
What will happen to the minor child of a Nusrat murderer
এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অন্যতম নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মনি। হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তার সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা থাকায় অবস্থায়ই কিলিং মিশনে অংশ নেন তিনি। কারারুদ্ধ মনি গত ২১ অক্টোবর জন্ম দেন এক কন্যা সন্তানের। এখন তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু বলেন, মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন সে রায়টি কার্যকর হতে আরও দীর্ঘ সময় লাগবে। কারণ আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করবেন, পেপারবুক তৈরি হবে এবং এটা আপিল বিভাগে যাবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ফুল কোর্টে শুনানি হবে।
এরপর আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এ প্রক্রিয়াটি আরও অনেক সময় লাগবে। কয়েক বছর লাগতে পারে। এ সময়ের মধ্যে কামরুন নাহার মনির বাচ্চা বড় হয়ে যাবে। বাচ্চা তার পিতার জিম্মায় চলে যেতে পারবে। এবং কামরুন নাহার মনির শাস্তি কার্যকর হতে পারবে।
তবে, এলাকাবাসী বলছেন, উচ্চ আদালতে মনির দন্ড লাঘব হলেও এ শিশুটি ভবিষ্যতে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ এ হত্যা মিশনে কামরুন নাহার মনির যে ন্যক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন তার সাজা তাকে ভোগ করতেই হবে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কীভাবে তিনি সহপাঠীকে হত্যার মতো ঘৃণ্যকান্ডে তিনি যুক্ত হলেন সেটি নিয়ে হতবিহ্বল তারা।
