Bangladesh

VC should have gone to the venue immediately: Hasina

VC should have gone to the venue immediately: Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Oct 2019, 12:11 am
ঢাকা, অক্টোবর ৯ : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে তিনি এসব বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের ভাষ্যনুযায়ী, পুরো বৈঠকটি ছিল একটা আবেগঘন পরিবেশের। শেখ হাসিনা বলেন, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে, একটি ছেলেকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে, সেটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনার দোষীদের ছাড় দেয়া হবে না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।


বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচায্যকে বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ব্রিফ করেন। ছাত্রলীগকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাল বেলা ১১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।


শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা জড়িত ছিল তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ রকম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কোনো সরকারের সময় নেয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী এই ঘটনার বিচার হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য আমরা যা করেছি পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের কোনো সরকার তা করেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। আমরা অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করেছি। এখন ক্যাম্পাসে কোনো অস্ত্রবাজী নেই। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে।


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘কিপ সাইলেন্ট’ থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছি না। ছাত্রলীগ বা সরকার অপরাধীদের পক্ষ নেয়নি। তাই ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ আন্দোলনটিকে রাজনৈতিক রং দিতে না পারে।


তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা তা করা হয়েছে। অস্ত্রবাজরা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। এসব যাদের ভালো লাগছে না তারা ক্যাম্পাসকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধরেছি যখন সবাইকে ধরবো। কাউকে ছাড় দেব না।