Bangladesh
US vows to maintain pressure on Myanmar
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।
চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যাওয়ার অবস্থা তৈরি করতে মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রাখবে।’
তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেবলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ‘ভীষণ বোঝা’ হলেও বিশ্ব জানে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপ হাজার হাজার মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
গত বছরের অগাস্টের শেষ দিকে রাখাইন প্রদেশে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যা-নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। গত কয়েক মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা এর আগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কয়েক দশক ধরে এদেশে বসবাস করছে।নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই জনগোষ্ঠীর মানুষের সংখ্যা ১১ লাখে পৌঁছেছে।
চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, বিশ্বে ‘সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তকারী’ দেশ যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাবে। বার্নিকাটের সঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন তিনি। রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার জন্য কক্সবাজার-বান্দরবানের স্থানীয় জনগণ যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সে বিষয়গুলোও তুলে ধরেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএইডের কর্মসূচি রয়েছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা লাঘবে কক্সবাজারেও কাজ করছে তারা।
Image: Donald Trump/Twitter
