Bangladesh
US: One person sentenced to 20 year imprisonment for taking money from British-Bangladeshi firm for terrorism related activity
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের এজউডের বাসিন্দা মোহাম্মদ এলশিনাওয়ি (৩৩) ২০১৫ সালে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে পাঠানো অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করেছিলেন গত বছর অগাস্টে।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তার বিরদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বাল্টিমোরের ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি।
সেখানে বলা হয়, এলশিনাওয়ি ইবের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রিন্টার বিক্রির নাটক সাজিয়ে পেইপ্যালের মাধ্যমে আইএস এর নেটওয়ার্ক থেকে অর্থ নেন।
ওই অর্থ সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল।
ফেডারেল আদালতে এফবিআইয়ের দেওয়া এফিডেভিটে বলা হয়, ওই পদ্ধতি ব্যবহার করে আইএস নেটওয়ার্ক যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশেও টাকা পাঠিয়েছে। আর এর পেছনে ছিলেন আইএস-এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ‘বাংলাদেশি কম্পিউটার প্রকৌশলী’ সাইফুল হক সুজন।
আইএস এর ওই নেটওয়ার্কে যুক্ত বেশ কয়েকজন পরে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশে গ্রেপ্তার বা নিহত হন বলে এফবিআইয়ের এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর সিরিযায় আইএসএর কথিত রাজধানী রাকার কাছে ড্রোন হামলায় নিহত হন আইএসের কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রধান সাইফুল হক সুজন। যুক্তরাজ্যে কম্পিউটার প্রকৌশলে পড়াশোনা করা এই বাংলাদেশি সে সময় আইএস-এর কম্পিউটার অপারেশন বিভাগের প্রধান ছিলেন।
সাইফুল হক সুজনের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার পাকুড়তিয়া গ্রামে।
সিরিয়ায় সুজনের নিহত হওয়ার সপ্তাহ দুই আগে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার কারওয়ানবাজারে তার প্রতিষ্ঠান আইব্যাকস টেকনোলজিস লিমিটেডের কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
বিমান হমলায় সুজন নিহত হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ‘আইব্যাকসটেক নোলজিস লিমিটেডের’ সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্য সরকার। বাংলাদেশেও বন্ধ হয়ে যায় এর কার্যক্রম।
অ্যাপ ও ওয়েবসাইট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইব্যাকস টেকনোলজিসের মূল কার্যক্রম চলত যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ থেকে। বাংলাদেশ ছাড়াও ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, জর্ডান, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ছিল।
ওই ব্যবসার আড়ালে সুজন অর্থ পাচারে যুক্ত ছিলেন বলে এফবিআই তদন্তকারীদের ভাষ্য। আইব্যাকসের মাধ্যমে সুজন কয়েক লাখ পাউন্ড ঢাকা হয়ে সিরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন বলে সে সময় ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্রগুলো।
আইব্যাকস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই পরে আগেরটির আদলে ডব্লিউএএইচএমআই (ডঅঐগও) নামে বাংলাদেশে নতুন একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
একই সময়ে সাইফুলের ভাই আতাউল হকও স্পেনে ‘আইসিংকটেল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলে। এই আইসিংটেলই ডব্লিউএএইচএমের সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়নের কার্যক্রম পরিচালনা করত।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আতাউল স্পেনে গ্রেপ্তার হন। সে সময় বাংলাদেশেও ডব্লিউএএইচএমআই’র কার্যালয় থেকে আটজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
Image: Creative Commons
