Bangladesh
Two Bangladesh doctors to be tried for medical negligence
এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রায় দেয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপরোস্কিপ, কলোরেক্টাল সার্জন মো. সুরমান আলী এবং বেসরকারি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক জি এম জাকির হোসেনকে হাকিম আদালত এ মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেছিলেন রোগী আমিনুল ইসলামের মা দেলোয়ারা বেগম। ওই আবেদন শুনে দুই বছর আগে হাই কোর্ট যে রুল জারি করেছিল, তা যথাযথ ঘোষণা করেই সোমবার এ রায় হলো।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে ২০১২ সালের ৩০ মে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে রোগী আমিনুল ইসলামের মলদ্বারে অস্ত্রোপচার করেন সুরমান আলী ও জাকির হোসেন। রোগীর ব্যাথা না কমায় দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচার করেন তারা। তারপরও ব্যাথা থাকায় অমিনুলকে কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট দেবাশীষ দত্ত অস্ত্রোপচার করেন। পরে সেখানে একটি সুই পাওয়া যায়।
দেশে ফিরে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আমিনুলের মা দেলোয়ারা বেগম। আদালত তা মামলা হিসেবে গ্রহণের জন্য পাঁচলাইশ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। ওই থানার এসআই রহুল আমিন ২০১৩ সালের ৩০ মে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
একই বছরের ৩ জুন আসামি সুরমান আলীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরদিন থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং চট্টগ্রামের চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত ও বেসরকারিভাবে পরিচালিত ক্লিনিকগুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চিকিৎসা বন্ধের ঘোষণা দেন।
এর দুইদিন পর ৬ জুন আদালতের নির্দেশে সুরমান আলী জামিন পেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন চিকিৎসকরা। এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী চিকিৎসক সুরমান আলী ও জাকির হোসেনকে অব্যাহতি দেন। এর আগে আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নয় দফায় মামলাটির শুনানির তারিখ পেছানো হয়।
