Bangladesh
Tri-nation tour was fruitful: Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী রোববার বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ১১ দিনের ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তৃতায় একথা বলেন। তিনি ২৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত জাপান, সৌদি আরব এবং ফিনল্যান্ড সফর শেষে গণ শনিবার দেশে ফেরেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই চায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত যাক। কিন্তু মিয়ানমার এদের নিতে চায় না। এখানেই সমস্যা। আপনারা দেখেছেন আমরা চুক্তি করেছি। সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তারপর তাদের সঙ্গে যোগাযোগও আছে। কিন্তু ওইভাবে তাদের সঙ্গে সাড়া পাই না। মিয়ানমার মোটেই আগ্রহী নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে আসে বা ভলানটিয়ার সার্ভিস দিতে আসে তাদের সাংঘাতিক আপত্তি ভাসানচরে নেয়ার ব্যাপারে। কক্সবাজারে আরাম আয়েশে থাকে, যা পায় কিছু খায় আর কিছু রাখে। খরচ হয় না। এজন্য তারা সরতে চায় না। সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। এণ সুন্দর ঘরবাড়ি আমরা করে দিয়েছি তারপরও পছন্দ হয় না।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সবাই জানে, সম্মান করে। বাংলাদেশ থেকে তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস থেকে তো আর মুছতে পারেনি। ওই সময় যারা যুবক ছিল, ছাত্র ছিল তারাই এখন বিভিন্ন রাষ্ট্রের ক্ষমতায়। ফলে তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অন্যরকম একটা অনুভূতি আছে। কাজেই সেজন্য সবার সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক।’
জাপান সফরে সফল হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান সফর যেমন আমরা সফল হয়েছি চীনেও হবো। ইতোমধ্যে আমার দাওয়াত ছিল। কিন্তু সেই সময় আমাদের পার্লামেন্টের জরুরি কিছু বিষয় ছিল। যে কারণে যেতে পারিনি। আগামী জুলাই মাসে আবার দাওয়াত দিয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট। ৩০ জুন আমাদের বাজেট পাস হওয়ার পর ওখানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সামার সামিট হবে।
